আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পুরোদমে কোরবানির পশুর যত্ন নিচ্ছেন ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খামারিরা। ঈদ সামনে রেখে দেশীয় পদ্ধতিতে চলছে পশু মোটাতাজাকরণ। এবার চাহিদা মতো সাড়ে ১০ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পরও বিভিন্ন এলাকার খামারীরা ও বিভিন্ন কৃষি পরিবার তারা গরু ও ছাগল প্রস্তুত করছেন কোরবানির জন্য।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর উপজেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১০ হাজার ২৯১ টি গরু ও ছাগল। সেখানে ১০ হাজার ৪৫২টি গরু ও ছাগল কোরবানীর জন্য প্রস্তুত আছে। এরমধ্যে গরু এক হাজার চারশত পঞ্চান্নটি ও ছাগল আট হাজার নয়শো সাতানব্বইটি।
উপজেলার রায়েরচর গ্রামের গরু খামারী সাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘চার বছর ধরে কাচা ঘাসসহ ন্যাচারাল খাদ্য খাওয়াইয়ে গরু লালন পালন করে আসছি। এবছর খামারে ৩৭টি গরু আছে। এরমধ্যে ৬/৭ ষাড় গরু কোরবানির জন্য বিক্রি করা হবে। গরু পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। আশা করি লাভবান হবো।’
আজলপুটি গ্রামের গরু খামারী আব্দুল্লাহ মাতুব্বর বলেন, ‘তিন বছর আগে আমার পালনকৃত গাভী থেকে একটা ব্রাহামা জাতের বাছুর জন্ম হয়। গত তিন বছর ধরে তাকে লালন-পালন করে এবার কোরবানিতে বিক্রির উপযুগি হয়েছে। কাচা ঘাস ও শুকনা খড় খেয়ে ষাড়টি বেড়ে উঠেছে। এবছর সালথা উপজেলার সব চেয়ে বড় গরু এটি। এর ওজন হবে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ মন। দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ। টার্গেট মতো দাম হলে বিক্রি করে দিবো। ’
লক্ষনদিয়া গ্রামের এজাজ নামে আরেক খামারী জানান, গত বছরের তুলনায় এবার খামারে গরু তৈরি করতে খরচ অনেক বেশি। তারপরও কোরবানির ঈদে গরুর দাম ভালো পাওয়ার আশায় খামারীরা গরু প্রস্তুত করা হচ্ছে। গরু যা আছে বিক্রি করে দিয়ে নতুন করে বাছুর এনে পালন করা হবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এবছর কোরবানিতে পশু চাহিদার থেকে বেশি পশু প্রস্তুত আছে। গরু ও ছাগলগুলো স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পালন হচ্ছে। আমরা গরু-ছাগলের খামারসহ গাইরস্তদের পশুগুলোর প্রতি খোঁজখবর নিচ্ছি এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সব ধরণের পরামর্শ দিয়ে আসছি।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :