মিয়ানমারের কাউকেও কোনভাবে আর বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যুদ্ধ চলছে। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মি এবং কয়েকটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল যুদ্ধ করে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে ওই দেশের কোন নাগরিক বা অন্য কাউকে আর অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) মধ্যরাতে কক্সবাজার হিলটপ সার্কিট হাউসে ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা’ শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে, রাত সাড়ে ৮ টা থেকে শুরু হওয়া এ সভা চলে রাত ১২ টা পর্যন্ত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিয়ে করণীয় বিষয়ে এই মতবিনিময় সভা। এই সভায় ক্যাম্পের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে কাঁটাতারের বেঁড়া কেটে ফেলা দুই’শোর বেশি অংশ দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাতের অস্থিরতার আঁচ এসে পড়ছে ক্যাম্পগুলোতে। সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, মিয়ানমার থেকে আর কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না। আর এদিক থেকেও কাউকে যেতে দেয়া হবে না। এটা নিয়ে কঠোর অবস্থানে থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে যারা ক্যাম্পে নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে। কিন্তু ক্যাম্পে এসব আর চলবে না। নিয়মিত ক্যাম্পে টহল চলবে। যেখানে এপিবিএন, পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব একসঙ্গে যৌথ টহল দিবে। আর সবসময় প্রস্তুত সেনাবাহিনী। যখন জরুরি প্রয়োজন পড়ে তখন সেনাবাহিনীও কাজ করে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, মূল উদ্দেশ্যে হলো ক্যাম্পকে নিরাপদ করা। এখানে খুন, রক্তপাত চলবে না। সেই জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়েছে যৌথভাবে কাজ করতে। আর ক্যাম্পে থেকে রোহিঙ্গা যাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে না পারে তার জন্য কেটে ফেলা কাঁটাতারের বেড়াগুলো সংস্কার ও দ্রুত মেরামতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, এপিবিএন প্রধান সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা প্রমুখ।
একুশে সংবাদ/চ.আ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :