AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ডিমলায় সিজারের পর নারীর মৃত্যু!


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১০:২৭ এএম, ১ জুন, ২০২৪
ডিমলায় সিজারের পর নারীর মৃত্যু!

নীলফামারীর ডিমলায় একটি ক্লিনিকে প্রসবকালীন অস্ত্রোপচারের পর ২২ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যর ঘটনা ঘটেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাসলিমা আকতার তুলি (২২) নামে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ডিমলা স্কয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। শুক্রবার (৩১ মে) রাতে এসব জানান নিহতের স্বামী আসাদুজ্জামান আসাদ।

উপজেলার শালহাটী এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদের (২৩) স্ত্রী তাসলিমা আকতার তুলি (২২)। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তীব্র ব্যথা নিয়ে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ক্লিনিকে ভর্তি হয় তুলি। রাতে রোগীর‌ বাবা ও শশুর বাড়ীর লোকজনের সিদ্ধান্ত হীনতার কারণে সিজার করা হয়নি। পর দিন সকাল বেলা নবজাতকের হাত বের হলে দ্রুত সময়ে মধ্যে অপারেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়। একপর্যায়ে গতকাল সকাল সাড়ে সাতটায় সফলভাবে অপারেশন সম্পন্ন শেষে নবজাতক ও প্রসূতিকে কেবিনে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু দুপুরের দিকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে (রমেক) ভর্তি শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের পরিবার ও স্বজনরা জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তুলির সিজারিয়ান অপারেশন হয়। এরপর চিকিৎসক জানান, মা ও নবজাতক উভয়েই ভালো আছে। অপারেশন শেষে ৯টার দিকে তাকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে নেওয়া হয়। তখনো চিকিৎসকরা জানান, পলি ভালো আছে। তবে ১২টার দিকে তারা জানা তুলির প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

স্ত্রীর মৃত্যু প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমার স্ত্রী তুলির সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। চিকিৎসকের কাছে সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে তারা জানায় রোগী এবং নবজাতক উভয়েই ভালো আছে। ১১টার দিকে শুনি রোগী ভালো আছে, তবে কিছুটা ব্লিডিং হচ্ছে। 

অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তুলির মারা যাওয়ার কথা স্বীকার করে ওই সিজারিয়ান অপারেশনের সার্জন ডা. মো. রাজু আহমেদ জানান, আমাকে ক্লিনিক থেকে জানায় একজন সিজারের রোগীর আছে। ক্লিনিকে গিয়ে দেখি রোগীর মাসিকের রাস্তা দিয়ে বাচ্চার হাত বের হয়ে গেছে। তাদের বলি এটা অপারেশন ছাড়া কোনো উপায়। পরে ৭টার দিকে সফল ভাবে অপারেশন সম্পন্ন হয়। অপারেশন শেষে রোগীকে রক্ত লাগবে এটা জানানোর পরেও তারা রক্তের ব্যবস্থা করতে পারেনি। এক পর্যায়ে ১১টা থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হলে দুপুর ২টায় ক্লিনিকে গিয়ে দেখি তারা রক্তের ব্যবস্থা করতে পারেনি। রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে স্যালাইন দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করতে বলি।

 


একুশে সংবাদ/এস কে

Link copied!