ময়মনসিংহের নান্দাইলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে লিফলেট বিতরণের সময় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত মুরাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলা চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে মুরাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুরাদ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন।
জানাজা শেষে মুরাদের খুনিদের বিচারের দাবিতে কফিন কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ। পরে কিছুক্ষণ ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে সাধারণ জনতা। জানাজা শেষে মুরাদের খুনিদের বিচারের দাবিতে কফিন কাঁধে নিয়ে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ।
জানাজায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চলমান নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম শাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও চলমান নির্বাচনের প্রার্থী এমদাদুল হক ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চলমান নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাজিমউল্লাহ লিটনসহ নিহতের পরিবারের স্বজনরা।
এ সময় সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, নান্দাইলে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। কিছু সুবিধাবাদী সন্ত্রাসী চক্র ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে দল পরিবর্তন করে মানুষ হত্যায় মেতেছে। এসব সন্ত্রাসীরা আমার বড় ভাই মনসুর ভূঁইয়াকে হত্যা করেছিল আজও বিচার পাইনি।
আব্দুল মতিন ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচনে মানুষ তার পছন্দ মতো প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার প্রচারণা করবে এটাই গণতন্ত্র, কিন্তু নান্দাইলে এর বিপরীত কার্যক্রম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রচারণা বন্ধ করতে প্রতিপক্ষের কর্মীদের হত্যা করেছে। বক্তারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন,আমরাসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :