যশোরের অভয়নগরে পুলিশ হেফাজতে আফরোজা বেগম (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আফরোজা বেগম অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের জলিল মোল্লার স্ত্রী। তার স্বজনদের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে আটকের পর নির্যাতনে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, মাদকসহ আটক ওই নারী হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। পুলিশ তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছিল।
মৃত আফরোজা বেগমের ছেলে মুন্না মোল্লা জানান, স্থানীয় একটি মহলের ইন্ধনে এসআই শিলন ও শামছু শনিবার রাত ১২টার দিকে তাদের বাড়িতে আসে। পরে নিজেদের কাছে থাকা ইয়াবা দিয়ে তার মাকে গ্রেফতার দেখায়। এ সময় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজন পুলিশ তার মাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারধর করে। পরে রাত ১টার দিকে থানায় নিয়ে যায়। সকালে থানায় গিয়ে দেখেন তার মা খুব অসুস্থ।
পুলিশকে অনুরোধ করে তার মাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা কয়েকটি টেস্ট দিলেও পুলিশ সদস্যরা সেগুলো
করতে না দিয়ে ফের থানায় নিয়ে যায়। আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মায়ের মৃত্যু হয়।
মুন্না অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ঘরে থাকা ইজিবাইক বিক্রির এক লাখ ৮০ হাজার টাকা লুট করেছে। আরও দুই লাখ টাকা ঘুষের দাবিতে তার মাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আব্দুস সামাদ জানান, ওই নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া তার মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না।
এদিকে হাসপাতালে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা এই বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে মোবাইল ফোনে অভয়নগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম দাবি করেন, মাদকসহ আটক ওই নারী হৃদরোগে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :