নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ছয় প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।
তারা হলেন– চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো:ইয়াহিয়া খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসা.মিনা আক্তার,জাহানারা রোজি,সুমি আক্তার ও সৈয়দা স্মৃতি আক্তার শাপলা।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হয়। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
৫ জুন (বুধবার)চতুর্থ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দুয়া উপজেলায় পাঁচ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে,তিন প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ছয় প্রার্থী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। উপজেলার মোট ভোটার ২ লাখ ৭২ হাজার ৩৩২ জন। নির্বাচনে ৯৬ টি কেন্দ্রে ১২৭৬৪১ জন ভোট দেন।ভোটের শতকরা হার ৪৬.৮৭।
চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আনারস প্রতীক নিয়ে ৪৯৩০ ভোট,৪ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে মোসা.মিনা আক্তার প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ১৬০৮৯ ভোট,জাহানারা রোজি হাঁস প্রতীক নিয়ে ৭৬৪০ ভোট,সুমি আক্তার কলস প্রতীক নিয়ে ৮৫৩৪ ভোট ও সৈয়দা স্মৃতি আক্তার শাপলা বৈদ্যুতিক ফ্যান প্রতীক নিয়ে ১৬৭৩৪ ভোট পেয়েছেন।ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো:ইয়াহিয়া খান চশমা প্রতীক নিয়ে ২৭৪০ ভোট পেয়েছেন।
এ নির্বাচনে মোফাজ্জল হোসেন ভূঞা চেয়ারম্যান, মাওলানা হারুন অর রশিদ তালুকদার ভাইস চেয়ারম্যান এবং সেলিনা বেগম মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেলে প্রার্থী তাঁর জামানত ফেরত পাবেন। এ হিসাবে ছয় প্রার্থী কাঙ্ক্ষিত ভোট না পাওয়ায় জামানত ফেরত পাবেন না।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :