নারায়ণগঞ্জে গুলিতে নিহত এক

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২০ জন। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. দ্বীন ইসলাম (২৩) নাওড়া এলাকার মিল্লাত হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, রূপগঞ্জে জমির ব্যবসা ও এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সঙ্গে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাবেক ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে প্রায় সময়ই দুই গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় উভয় গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে মোশাররফ হোসেন এলাকা ছাড়া হন।

গত মঙ্গলবার (৪ জুন) মোশাররফ তার এক স্বজনের জানাজায় অংশ নিতে এলাকায় আসেন। সে সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা করলে সে পালিয়ে যায়। এর জেরে গত তিনদিন ধরে নাওড়া এলাকায় তাদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেই উত্তেজনা থেকে প্রথমে উভয় গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি এবং বিকেলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এসময় উভয় গ্রুপের লোকজন হেলমেট মাথায় দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তাদরে মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এরই মধ্যে একাধিক লোক গুলিবিদ্ধ ও আহত হন। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দ্বীন ইসলাম নিহত হন।

নিহত দ্বীন ইসলামের চাচা নাজমুল প্রধান বলেন, মঙ্গলবারের সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। এ নিয়ে এলাকায় পুলিশও মোতায়েন করা হয়। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করেই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তিন থেকে চারশো লোক অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মোশাররফ হোসেন ও নাজমুল প্রধানের বাড়িতে হামলা চালায়। মোশাররফের লোকজন হামলায় বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় মিজানুর রহমান ও তার সমর্থকরা শর্টগান ও পিস্তলের গুলি ছোড়ে। মিজানুরের ছোড়া গুলিতে দ্বীন ইসলাম আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

তবে এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, গ্রামবাসীর সঙ্গে মোশাররফের লোকজনের সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। এতে মোশাররফের এক লোক নিহত হয়েছে। তিনি গ্রামে না থাকায় ঘটনার বিস্তারিত জানেন না।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় সেখানে নাওড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ছিলেন। পরে রূপগঞ্জ থানা থেকে আরও ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তত ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়তে হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

একুশে সংবাদ/আ.টি/সা.আ