গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাভুক্ত নলডাঙ্গা অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ সেলিম রেজার দায়িত্ব অবহেেলায় বিদ্যুৎপৃষ্টে লাইন শ্রমিক নুরুল ইসলাম অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও শেষ পর্যন্ত চিরপঙ্গুত্ব থেকে তার শেষ রক্ষা হয়নি।
লাইন শ্রমিক নুরুল ইসলামের ভগ্নিপতি রেজাউল করিম জানান,ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিট ও প্লাষ্টিক সার্জারী হাসপাতালে বিদ্যুৎপৃষ্টে গুরুতর আহত লাইন শ্রমিক নুরুল ইসলাম গত সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এমতবস্থায় ডাক্তারদের পরামর্শে লাইন শ্রমিক নুরুল ইসলামের বিদ্যুৎপৃষ্টে পুড়ে যাওয়া হাত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে। তিনি আরো জানান,তার শারীরিক অবস্থা এখন মোটামুটি ভাল আছে। কিন্তু তার হাত কেটে ফেলায় তিনি হাসপাতালের বেডে শুধু অঝোরে কাঁদছেন। আর বারবার বলছেন আমি এখন করে খাবো।কিভাবে সংসার চালাবো। কিভাবে স্ত্রী সন্তানদের লালন পালন করবো।
এদিকে ওই সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম লাইন শ্রমিক নুরুল ইসলাম চিরপঙ্গুত্ব বরণ করায় তার স্ত্রী সন্তান ও আত্নীয় স্বজনও মর্মাহত হয়ে পড়ছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার(১জুন) দুপুরে ইনচার্জ সেলিম রেজা তার অধীনস্থ লাইন শ্রমিক নুরুল ইসলাম কে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মহিষবান্ধি দক্ষিন পাড়ায় ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুত সংযোগের কাজ করতে যান।
এসময় ইনচার্জ সেলিম রেজা বিদ্যুৎ সংযোগ চালু থাকা অবস্থায় লাইন শ্রমিক নুরুল ইসলাম কে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে তুলে দেন। লাইন শ্রমিক নুরুল ইসলাম খুঁটিতে উঠার পর ইনচার্জ সেলিম রেজার কাছে লাইন বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি খুঁটির নীচ থেকে বলেন লাইন বন্ধ করা হয়েছেে।তার কথা মোতাবেক লাইন শ্রমিক নুরুল ইসলাম প্লাস দিয়ে সংযোগ পাল্টাতেই তিনি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বৈদ্যুতিক কাজে নিরাপত্তার জন্য ব্যবহূত বেল্টের সাথে খুঁটিতে ঝুলতে থাকেন।এমতবস্থায় স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সাদুল্লাপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নতি না হওয়ায় ওইদিন বিকালে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। আহত নুরুল ইসলাম সুন্দরগজ্ঞ উপজেলার তালুক সর্বানন্দ গ্রামের বাসিন্দা।তিনি রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ এর আওতাধীন নলডাঙ্গা অভিযোগ কেন্দ্রের নিয়োজিত একজন লাইন শ্রমিক।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :