বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, ফরিদপুরের উদ্যোগে শনিবার (৮জুন) সদর উপজেলার ডিক্রির চরের পালডাঙ্গী গ্রামে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের অধীনে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রকল্পের ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প সমন্বয়ক ড. ফেরদৌসী বেগম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্রের, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলাউদ্দিন খান, বিএডিসি ফরিদপুর,সিনিয়র সহকারী পরিচালক, মো. আলি হোসেন।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওই অঞ্চলের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক সহকারীবৃন্দ।
মাঠ দিবসে শতাধিক কৃষাণ কিষানী অংশগ্রহন করেন। এ বছর পালডাঙ্গী গ্রামে বারি তিল-৪ ও বারি চিনা বাদাম-৮ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। এই জাত দুটি খরা সহিষ্ণু হওয়ায় চরাঞ্চলে আবাদের জন্য উপযোগী।
অতিথিরা কৃষকদের সাথে চরাঞ্চলে বারি তিল-৪ ও বারি চিনা বাদাম-৮ এর উৎপাদন কার্যক্রমের মাঠ পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত সবাই বারি উদ্ভাবিত আধুনিক তিল ও বাদাম জাতসমূহ গ্রহণ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, এ দেশের কৃষকরা সাধারণত স্থানীয় জাতের তিল ও চীনা বাদাম আবাদ করে থাকে, দেশি তিল হেক্টর প্রতি গড় ফলন মাত্র ১.১ টন। বারি তিল-৪ এর হেক্টর প্রতি ফলন ১.৫ টন। দেশি চিনা বাদাম হেক্টর প্রতি গড় ফলন মাত্র ১.৮ টন। বারি চিনা বাদাম-৮ এর হেক্টর প্রতি ফলন ২.৫ টন। তাই নতুন জাত আবাদে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হয়।
এ ছাড়া এই বারি তিল-৪ ও বারি চিনা বাদাম-৮ জাত দুটি খরা সহিষ্ণু হওয়ায় চরাঞ্চলে আবাদের জন্য উপযোগী।
প্রধান অতিথি বলেন, প্রতি বছর ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। তাই পরিবারের ও দেশের চাহিদা পূরণে তিল ও চিনা বাদাম আবাদ ক্রমান্বয়ে বাড়াতে হবে। সঠিক পরিচর্যা ও সুষম সার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। উৎপাদনের পাশাপাশি নিজেদের খাদ্য তালিকায় সরিষা ও সয়াবিন তেলের পাশাপাশি তিল ও চিনা বাদাম তেলের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
সবাইকে বারি উদ্ভাবিত অন্যান্য নতুন জাত ও প্রযুক্তি গ্রহন করে কৃষির উৎপাদনকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে অনুরোধ করেন ড. সেলিম আহম্মেদ।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :