জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুরে রায়কালী ইউনিয়নের আমির উদ্দীনকে অ-মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট প্রদানের প্রতিবাদে ও গেজেট বাতিল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় রায়কালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন, উপজেলা বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নবীবুর রহমান, রেলওয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারি, রায়কালী ইউনিয়ন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল আজম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদ আশাদুজ্জামানসহ আরো অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রায়কালী ইউনিয়ন কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা শামছুল আজম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির নিকট আমরা একটি অভিযোগ করি, সেই কমিটিতে আমির উদ্দীন কোন স্বাক্ষী ও কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সেই সময় তাকে বাতিল বলে গণ্য করা হয়। পরবর্তীতে সে যোগসাযোজ করে জা,মু,কা (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) থেকে গেজেট পাশ করে নিয়ে আসে। তার গেজেট বাতিলের জন্য আমরা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক বরাবর ও আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিতও দিয়েছিলাম। আসলে সে কোন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয়, তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা ভারতে কোন ক্যাম্পেই ভর্তি হননি। আমরা রায়কালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সকলেই চাই অবিলম্বে তার এই গেজেটটি বাতিল করা হোক।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধারা রায়কালী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সামনে আমির উদ্দীনের গেজেট বাতিলের জন্য স্লোগান দিয়ে মানববন্ধন ও র্যালি করেছেন।
উপজেলার বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা নবীবুর রহমান বলেন, তিনি কোন যুদ্ধেই অংশগ্রহণ করেননি। তিনি অপচেষ্টার মাধ্যমে গেজেটে নাম ঢুকিয়েছেন। আমারা তার গেজেট বাতিল চাই।
অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আমির উদ্দীন উপজেলার রায়কালী ইউনিয়নের চিয়ারিগ্রামের বাসিন্দা এবং ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য।
অভিযুক্ত আমির উদ্দীন বলেন, ১৯৭১ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের ত্রিমুনী ক্যাম্পে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ভর্তি হই এবং আমার রেজি নং: ৪১৬। সেখোন থেকে এসে আমি চিয়ারিগ্রাম, গুডুম্বা, ঢেকুঞ্চা মাঠে হানাদার বাহিনীর সাথে মুখোমুখী যুদ্ধ করি। সেই যুদ্ধ দুপচাঁচিয়া গিয়ে শেষ হয়। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়। আমার কাছে এক মুক্তিযোদ্ধা ৫ লক্ষ টাকা দাবী করেছিল, সেই টাকা না দেওয়ায় তারা একত্রিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে আভিযোগ করছে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :