AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ওজন মেপে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৪:৫৬ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৪
ওজন মেপে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু

 রংপুরে কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে কোরবানির পশু। নগরের মাহিগঞ্জের দেওয়ানটুলি এলাকায় জমজম ক্যাটল ফার্ম নামের আব্দুল মতিনের গরুর খামারে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে কোরবানির এই পশু। গত বুধবার খামারটিতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কেজি দরে কোরবানির পশু বিক্রি করছেন খামারি। এতে স্থানীয় লোকজন অনেক খুশি।

হাটে না গিয়ে খামার থেকে গরু কিনতে পারছেন তারা। কেজি ৪৫০ টাকা। বাজারের চেয়ে অনেক কম দাম। বর্তমানে বাজার থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস কিনতে হচ্ছে। এ বিষয়ে খামারি আব্দুল মতিন বলেন, ‘অনেক বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা আসছেন এই খামারে। চাহিদা অনুযায়ী দিতে পারছি না।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা অনেক বেশি। চার বছর আগে খামারটি চালু করেছি। আমার খামারে কোরবানির গরুর পাশাপাশি দুম্বা রয়েছে।’খামারি মতিন জানান, হাট থেকে গরু কিনতে গেলে ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ দূর-দূরান্ত থেকে আসা গরুকে মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে কি না, সেটা বোঝার উপায় নেই। কিন্তু তাঁর খামারে এ ধরনের কোনো ওষুধ খাওয়ানো হয় না।

ক্রেতা কামাল হোসেন, আরমান ও গফুর মিয়া বলেন, ‘জমজম ক্যাটল ফার্মে গরু কিনতে এসেছি। বেশ কিছু হাট ঘুরে পছন্দসই গরু কিনতে পারিনি। এ কারণে খামারে এসেছি। ওজনে মেপে পছন্দমতো গরু কেনার পদ্ধতিটি ভালো লেগেছে। ঝামেলামুক্ত এবং ফ্রেশ গরু কিনতে এখানে এসেছি। ওজন স্কেলে গরু বেচাকেনায় সুবিধা অনেক। ওজন স্কেলে গরু মেপে বেচাকেনার কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে ঠকে যাওয়ার চিন্তা নেই। বাজেট অনুযায়ী সুস্থ-সবল পশু কিনতে পারছি।’

এবার রংপুর বিভাগের আট জেলায় খামারিদের কাছে রেকর্ড পরিমাণ কোরবানির উপযোগী পশু রয়েছে। এ বিভাগের চাহিদা মিটিয়েও রেকর্ড আট লাখ ৩৪ হাজারের বেশি পশু বিক্রি করা সম্ভব হবে। তবে পশুখাদ্যের মূল্য অনেক বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর গরু লালন-পালন করে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে গরুর হাটে দালালদের কারণে লোকসান গুনতে হবে।

রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক জানান, চলতি বছর কোরবানির জন্য রংপুর বিভাগে পশু প্রস্তুত ২১ লাখ ৫২ হাজার ৩১৯টি। অন্যদিকে রংপুর বিভাগের আট জেলায় চাহিদা ১৩ লাখ ১৮ হাজার ১১৭টি পশুর। এর মধ্যে উদ্বৃত্ত থাকবে ৯ লাখেরও বেশি পশু।

একুশে সংবাদ/কা.ক/হা.কা

Link copied!