নীলফামারীর ডিমলায় গভীর রাতে পুলিশ বেশে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় একটি প্রাইভেট কার,দেশীয়,অস্ত্র,নিরাপত্তা বাহিনীর হালকা সবুজ রংয়ের রিফ্লেক্টিং ভেষ্ট, সবুজ বাতির টার্গেট লাইট, সাতটি মোবাইল ফোনসহ চার ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) গভিররাতে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিমলা থানার ওসি দেবাশীষ রায়ের নেতৃত্বে সঙ্গীয়ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে উপজেলার খালিশাচাপানী এলাকার ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার মালিয়ার ডাঙ্গা গ্রামের লয় প্রামানিকের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩০), সোনাতলা উপজেলার পদ্মপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সোনা মিয়া (৩০), নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর নিজপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দীকের ছেলে আলী হাসান ওরফে বাবু (৩১) ও ইসলামবাগ বড় মসজিদ গ্রামের মৃত বেলাল হোসেনের ছেলে সবুজ হোসেন(২৭)।
জানা যায়, সেদিন দিবাগত গভিররাতে পুলিশের রিফ্লেক্টিং ভেষ্ট পরিহিত ও সবুজ বাতির টার্গেট লাইট (লেজার লাইট) সহ ওই স্থানে স্পিড ব্রেকারের কাছে ডাকাতি করার জন্য সহজে বিভিন্ন গাড়ি থামাতে সমবেত হয় ডাকাত দলটি। এ সময়ে ডিমলা থানার ওসি দেবাশীষ রায়ের নেতৃত্বে থানা পুলিশের টহলরত একটি চৌকস দল ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে (ঢাকা মেট্রো-গ-২৩-২৮২৫) নম্বরের একটি প্রাইভেট কার, দেশীয় অস্ত্র ছোরা, লোহার রড, হাতুড়ি, নিরাপত্তা বাহিনীর হালকা সবুজ রংয়ের রিফ্লেক্টিং ভেষ্ট, সবুজ বাতির টার্গেট লাইট, সাতটি মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করে করা হয়।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের কয়েকজন পালিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় ও পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ডিমলা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালের সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর উৎপল চন্দ্র রায় বাদী হয়ে ৫ জনকে এজাহার নামীয় আসামী ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নামে ডিমলা থানায় মামলা করেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :