AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঈদের আগে উজানে ভারী বৃষ্টি, কুড়িগ্রামে বন্যার শঙ্কা


Ekushey Sangbad
নয়ন দাশ, কুড়িগ্রাম
০৫:১১ পিএম, ১৫ জুন, ২০২৪
ঈদের আগে উজানে ভারী বৃষ্টি, কুড়িগ্রামে বন্যার শঙ্কা

উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে।কোরবানির ঈদের দিনগুলোতে কুড়িগ্রামে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। আগামী ৫ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থেকে ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার এসব নদ-নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান।

পাউবো নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে ছাড়াও এসব নদ-নদীর উজানে ভারতের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলার পানি কুড়িগ্রাম শহর (ধরলা সেতু) পয়েন্টে ৮৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা অববাহিকায় ১০২ দশমিক ২ মিলিমিটার এবং তিস্তা অববাহিকায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা দুধকুমার, ধরলা ও তিস্তা নদীসমূহের পানি কিছু কিছু সময় দ্রুত বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে পাউবো। আগামী কয়েক দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রাম সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদ-নদীতে জেগে ওঠা চরগুলো নিমজ্জিত হতে শুরু করেছে।

সদরের হলোখানা ইউনিয়নের ধরলা তীরবর্তী বাসিন্দা আহমেদ বলেন, ‘শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে পানি খুব বাড়তি। দুই ফুটেরও বেশি বাড়ছে। কিছু চর ডুবতে শুরু করছে, তবে সেগুলোতে জনবসতি নেই।’

রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা মিলন বলেন, ‘শুক্রবার সারা দিন পানি খুব বাড়ছিল। কিন্তু রাতে কমেছে। তবে আবার ভারী বৃষ্টি হয়েছে।’

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী কয়েক দিন উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এ সময় জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে। পানি বিপদসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির ওপর আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!