লক্ষ্মীপুর জেলার মজু চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে ভোলার উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি পারিজাত লঞ্চ। এটি দেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মজিবুর রহমান লঞ্চটি থামানোর জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা অমান্য করেই ভোলার দিকে যাচ্ছি। এতে স্পিডবোটে ধাওয়া করে ঘাটের রহমতখালী চ্যানেলে লঞ্চটি থামায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে মজু চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাটে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবদুর রহমান ও নৌ-পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. সাইফুজ্জামান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর-ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। সে সুযোগে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ করে থাকে। এ অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীরহাট লঞ্চঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। এমভি পারিজাত-১ নামে লঞ্চটি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ভোলার উদ্দেশে রওনা দেয়।
এসময় তাদের একাধিকবার নিষেধ করলেও তারা লঞ্চটি থামায়নি। পরে স্পিডবোটের মাধ্যমে ধাওয়া করে ঘাটের রহমতখালী খালের চ্যানেলে লঞ্চটি থামানো হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যাত্রীদের হয়রানির কথা বিবেচনা করে তাদেরকে লঞ্চ থেকে নামানো হয়নি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর রহমান বলেন, নৌপথে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক রয়েছি।
একুশে সংবাদ/এ.টি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :