‘শ্রীমঙ্গল’ মৌলভীবাজারের একটি উপজেলা হলেও এটি ১৯৩৫ সালে পৌরসভা হিসেবে ঘোষিত হয়। এতেই বোঝা যায়- এ শ্রীমঙ্গল কত উন্নত জনপদ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি- চাবাগানের রাজধানী বলে খ্যাত এ জনপদের অনেক পুরনো ইতিহাস রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল বর্তমানে (২০২৪ সাল) বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এখানে রয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানের রিসোর্ট-রেস্ট্রুরেন্ট। মনোমুগ্ধকর চাবাগান।
‘শ্রী দাস’ ও ‘মঙ্গল দাস’ নামে দু’জন ধনবান হিন্দু প্রথমে হাইল-হাওরের তীরে বসতি স্থাপন করেছিলেন। এ দু’ভাইয়ের নামানুসারে শ্রীমঙ্গল নামকরণ করা হয় এ জনবসতির।
অন্য একটি ধারণায় বলা হয়েছে, শ্রীমঙ্গল শহরের অদূরে ‘মঙ্গলচন্ডী’ দেবতার একটি স্থলী বা মন্দির ছিল। তার নামানুসারে ‘শ্রীমঙ্গল’ নামকরণ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২শ কি.মি. দূরত্বে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রকৃতির আদুরেকন্যা, সুবিশাল পাহাড়ের পাদদেশে আর হাইল-হাওরের পিঠে ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভাসহ উপজেলা শ্রীমঙ্গলের অবস্থান। চায়ের রাজধানীখ্যাত শ্রীমঙ্গলের আয়তন ৪২৫.১৫ বর্গকিলোমিটার।
শ্রীমঙ্গলের নামের আরেকটি তথ্য পাওয়া যায়- বাবু প্রকৃত রঞ্জন দত্ত (এডভোকেট হাইকোর্ট ডিভিশন সিলেট) রচিত ‘সাতগাঁও এর ইতিহাস’ নিবন্ধ হতে। এতে বিভিন্ন লেখকের মত ও সূত্রের উদ্ধৃতিসহ বর্ণনা করেছেন যে, সাতগাঁও এর পাহাড়ে অধিষ্ঠিত শ্রী মঙ্গলচন্ডি মন্দিরকে কেন্দ্র করে এককালে মঙ্গলচন্ডির হাটের প্রতিষ্ঠা হয়। সেই মঙ্গলচন্ডির হাটই পরবর্তী কালে শ্রীমঙ্গল বাজারে রূপান্তরিত হয়।
এর পর এ অঞ্চলে অধিক লোক সমাগম ঘটে এবং লোকমুখে শ্রীমঙ্গল বাজার হিসেবে এ অঞ্চল পরিচিতি লাভ করে। এখানে উল্লেখ যোগ্য যে, শ্রী মঙ্গলচন্ডির মন্দিরের বিলুপ্ত প্রায় ধ্বংসাবশেষ রয়েছে বর্তমান শ্রীমঙ্গল পৌরসভা হতে কয়েক ক্রোশ উত্তর পশ্চিমে।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :