সিলেট নগরীতে সেপটিক ট্যাঙ্কের ভেতরে বন্যার পানি ঢুকে দুর্গন্ধে ছড়াচ্ছে শহরজুড়ে। পানির সাথে ঢুকে পড়ছে সেপটিক ট্যাঙ্কের ময়লা বাসাবাড়িতে। এতে দুর্গন্ধে শহরবাসীর নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে উপশহর এলাকায় এর চিত্র ভয়াবহ। ময়লা-আবর্জনায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে সর্বত্র। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
এদিকে নগরীতে রোববার রাত থেকে ঈদের দিন ও বুধবার পর্যন্ত ভারী বর্ষণ ছিল। এর পর থেকে প্রতিদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও সড়ক আবারও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি নগরীর ফায়ার সার্ভিসের অফিসটিও পানিতে তলিয়ে গেছে।
বুধবার (১৯ জুন) সকালে সিলেট নগরীর উপশহর এলাকার অনেক বাসায় কোমর সমান পানি ছিল। পানি আরো বাড়ার আশঙ্কায় উপশহর, যতরপুর, তালতলা, জামতলা, ছড়ারপাড়, কামালগড়, মাছিমপুর, ঘাসিটুলা, শামীমাবাদ এলাকাসহ নিচু এলাকার অনেক বাসিন্দা নৌকা ভাড়া করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে, আত্মীয়-স্বজনের বাসায় কিংবা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন।
বন্যা কবলিত এলাকার সড়ক গুলোতে মানুষজনের চলাচল অনেক কম। তবে অফিসগামী মানুষেরা পানি মাড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা গেছে। রোজভিউ হোটেলের সামনে দিয়ে উপশহরমুখী রাস্তায় ঘোলা, নোংরা এবং দুর্গন্ধযুক্ত পানি থই থই করছে। সড়কের কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও আবার কোমর পানি। জমে থাকা পানিতে ভাসছে সেপটিক ট্যাঙ্কের ময়লা, বারোয়ারি ময়লা-আবর্জনা। এ পানি মাড়িয়েই স্থানীয় বাসিন্দারা চলাচল করছে। মাঝে মধ্যে সেই পানি মাড়িয়ে যেতে দেখা গেছে, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন।
ভুক্তভোগী নগরবাসীরা জানিয়েছেন, মানুষের এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন খাবার ও বিশুদ্ধ পানি। এ ছাড়া পানিবন্দী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি, প্রসূতি ও নারীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়, অটোরিকশা, টমটম এবং রিকশাচালকেরা যাত্রী পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :