পাশাপাশি খোঁড়া হয়েছে একের পর এক সাত কবর। এসব কবরে দাফন করা হয় মা ও দুই মেয়েসহ একই গ্রামের সাতজনকে। শনিবার (২২ জুন) বরগুনার আমতলীতে বরের বাড়ি যাওয়ার সময় মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাদের।
রোববার (২৩ জুন) সরেজমিনে মাদারীপুরের শিবচরে ভদ্রাসন চরপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এসময় নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেই সঙ্গে এ ঘটনায় দোষীদের তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করা হয়।
জানা যায়, শনিবার শিবচরের ভদ্রাসনের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ পরিবার নিয়ে একটি মাইক্রবাস যোগে বরগুনায় বোনের মেয়ে হুমায়রা আক্তারের বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। দুপুরে আমতলী এলাকার হলদিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় তা ভেঙে গেলে মাইক্রোবাসটি এবং একটি অটোরিকশা খালে পড়ে যায়। এসময় অটোরিকশার যাত্রীরা বেরিয়ে আসতে পারলেও মাইক্রোবাসের কয়েকজন যাত্রী বের হতে পারেননি। এতে ঘটনা স্থলেই ১০ যাত্রী নিহত হন।
দুর্ঘটনা থেকে আজাদ বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান তার পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে সাতজন। তারা হলেন– আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার মুন্নী (৪০), তার দুই মেয়ে তাহিদা (৭) ও তাসদিয়া (১১)। এ ছাড়া একই এলাকার মৃত ফকরুল আহম্মেদের স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪০), সোহেল খানের স্ত্রী রাইতি আক্তার (৩০), বাবুল মাদবরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০) ও রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুমি বেগম (৪০)। তাদের সবার বাড়ি ভদ্রাসনের সাহাপাড়া ও চরপাড়া গ্রামে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানাজায় অংশ নিয়ে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে দাফন খরচ হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করেন।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ আলম বলেন, সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে মারা যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ৭জনই মাদারীপুরের। এটি খুবই দুঃখজনক। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :