মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে তরুণকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বাধা দিতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হন আরেকজন।
শনিবার (২২ জুন) গভীর রাতে উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের গরেরগাঁও এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, নিহত তরুণের নাম ঈদুল হাসান আরমান (২২)। তিনি উপজেলার গরেরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সৌদি আরবপ্রবাসী সুমন মিয়ার ছেলে।ছুরিকাহত অপর ব্যক্তির নাম রফিক মিয়া (৪৮)। তিনি সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক ও নিহত আরমানের খালু। বর্তমানে তিনি সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত ঈদুল হাসান আরমানের মা রহিমা আক্তার বলেন, তার ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরমান রাতে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১২ টার দিকে প্রতিবেশী তানভীর আহমদ (২২) ঘরের সামনে এসে তাকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। একপর্যায়ে আরমান ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বের হন। তৎক্ষণাৎ তানভীর ধারালো ছুরি দিয়ে আরমানের ঘাড়ের ডান পাশে আঘাত করেন। এ সময় আরমানের খালু রফিক মিয়া কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘটনাটি দেখে তিনি বাধা দিতে গেলে তানভীর তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় আরমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে ছুরিকাহত রফিক মিয়াকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে তানভীর, তানভীরের বাবা ইয়াজ মিয়া (৫৫), ভাই তুহিন আহমদ (১৯) ও চাচা তাজ মিয়াকে (৫৫) আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রোববার (২৩ জুন) দুপুরে জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। আটকদের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :