ময়মনসিংহের নান্দাইলে সম্পত্তি নিয়ে পূর্ব শত্রুতা ও পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে আবুল কাশেম (৪৫) নামে এক ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। শনিবার (২২ জুন) রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আবুল কাশেম উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মিয়ার ছেলে। সে ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এদিকে এঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় সমর আলীর ছেলে সুরুজ আলীকে (৪১) আটক করেছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী হোসনা আক্তার প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের কাছে অল্প অল্প টাকা করে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জমা রাখে।
গত সপ্তাহে হোসনা আক্তার রফিকুল ইসলামের কাছে টাকা চাইতে যায়। এতে দু`পক্ষের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়।
শনিবার দুপুর ২টায় হোসনা আক্তারের স্বামী আবুল কাশেম ইজিবাইক নিয়ে বাড়িতে আসার পথে হযরত আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) সমর আলীর ছেলে সুরুজ আলী (৪১), আব্দুর রহমানের ছেলে কাশেম (৩৩), আল আমিন (৩২), সোহেল মিয়া (৩৫), মাসুদ মিয়া (২৫), হাসেন আলীর ছেলে রুহুল আমিন (৪০) ও রফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিবুল (২১) কাশেমের ইজিবাইকের গতিরোধ করে।
এক পর্যায়ে হাতে থাকা লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই রোববার (২৩ জুন) রাত ৩ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এতে করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিহত আবুল কাশেমের ছেলে মো. হিমেল মিয়া বলেন, আমার মা হোসনা আক্তার রফিকুলের কাছে টাকা জমা রাখছিল। পাওনা টাকা চাইলে গেলেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসেম বলেন, খুনের ঘটনায় কাশেমের পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় একজনকে আটক করা হয়েছে ৷
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :