বরগুনার আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়নের ১৯ ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ দিয়ে লক্ষাধিক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে হলদিয়া হাট ব্রিজের মত বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
রোববার (২২ জুন) হলদিয়া হাট আয়রন ব্রিজ ধ্বসে মাইক্রোবাসসহ খালে পরে ৯ জন মারা যায়। এঘটনায় এলাকায় চলছে শোকের মাতম। ঝুকিঁপূর্ণ ১৯ আয়রন ব্রিজ নিয়ে আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েছে হলদিয়ার সাধারন মানুষ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কয়েক বছর আগে থেকেই আয়রন ব্রিজগুলোতে দেখা দিয়েছে ফাটল। ভীমগুলোতে ধরেছে মরিচা। ব্রিজ নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। সেতুগুলোর অনেক জায়গায় দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে। তবে বিকল্প উপায় না থাকায় ঝুঁকি ও আতঙ্ক নিয়েই ব্রিজ দিয়ে লক্ষাধিক মানুষ ও ভারী যানবাহন চলাচল করছে।
এই আয়রন ব্রিজগুলো হালকা যান প্রকল্পের আওতায় ২০০২ থেকে ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয়।দ্রুত সময়ের মধ্যে আয়রন ব্রিজগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া এবং নতুন ভাবে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
আয়রন ব্রিজগুলো হলো- হলদিয়া হাট ব্রিজ, রাড়ী বাড়ির ব্রিজ, আউয়াল নগর ব্রিজ, বাহাদুর তালুকদার বাড়ী সংলগ্ন ব্রিজ, মুসল্লী বাড়ির ব্রিজ, গাজীপুর কাঁঠালিয়া সংযোগ ব্রিজ, সোনাগাজা ব্রিজ, আলতাফ তালুকদার বাড়ী ব্রিজ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সিকদার বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া রাহিমিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন ব্রিজ, টেপুরার মল্লিক বাড়ির সামনের ব্রিজ, জেবিসনের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রিজ, মোল্লাবাড়ী সংলগ্ন ব্রীজ, পূর্বচিলা আশিখার খালের ব্রিজ, কাপালির স্লুইজ সংলগ্ন ব্রিজ, কালু বিশ্বাস বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জেন্নাত মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম সোনা উঠা ব্রিজ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হুমায়ুন আকন বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন মেম্বর বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মেলকার বাড়ী সংলগ্ন ব্রিজ। এই ব্রিজ গুলোর মধ্যে মোল্লা বাড়ির ব্রিজ, জেবিসনের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রিজ, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জেন্নাত মিয়ার বাড়ী সংলগ্ন ব্রিজ, টেপুরার মল্লিক বাড়ির সামনের ব্রিজ গুলো ধ্বসে পড়ে গেছে। এসব এলাকার জনসাধারনের চলাচলে ভোগান্তির কোনো শেষ নেই।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে আয়রন ব্রিজগুলো বেহাল থাকায় ঝুঁকি নিয়েই ওই ইউনিয়নের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ লোকজন চলাচল করছেন।
আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, দ্রুত এই ব্রিজগুলো সংস্কার বা নতুন ব্রিজ নির্মান করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।
আমতলীর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজগুলো সরিয়ে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আশরাফুল আলম বলেন, দ্রুততম সময় নতুন ব্রিজ নির্মান করা হবে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :