AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাদুল্লাপুরে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে পরিবেশ হুমকির মুখে


সাদুল্লাপুরে প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে পরিবেশ হুমকির মুখে

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলাসহ আশে পাশের হাট-বাজারগুলোতে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়, আমদানী ও ব্যবহারবিধি সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের ওই নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া ভাবে এসব পলিথিন এবং প্লাস্টিকের তৈরি পণ্যাদি প্রকাশ্যে বেচা-কেনা করলেও দেখার যেন কেউ নেই।

নলডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সুজন সরকার বলেন, পলিথিন ব্যবহার শাস্তিমূলক অপরাধ হলে সেই আইনের যথাযথ কোন প্রয়োগ না থাকার সুযোগে হাট-বাজারগুলো এখন পলিথিনে সয়লাব হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় হাত বাড়ালেই যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মিলছে পলিথিনের ব্যাগসহ প্লাস্টিকের তৈরিকৃত প্লেট, গ্লাস, বালতি, মগ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র। 

এছাড়া কেক, বিস্কুট, পাউরুটিসহ অন্যান্য অনেক খাবার সামগ্রী পলিথিনে প্যাকেটজাত করে তা দেদাচ্ছে বাজারজাত করা হচ্ছে। এসব পলিথিন ও প্লাস্টিক নির্বিঘ্নে যত্রতত্র ব্যবহার করায় জনস্বাস্থ্যে মারাত্নক হুমকির মুখে পড়েছে। তবে এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য তিনি জোর আহবান জানান।

নলডাঙ্গায়  কাচাবাজার করতে আসা সলিম মিয়া নামে একজন পলিথিন ব্যাগ বোঝাই করে বাজার করছিলেন। এসময় পলিথিনের ব্যাগে খরচের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ব্যাগ নিয়ে আসি না। সচরাচর পলিথিনের ব্যাগেই বাজার করি। কারন বাজার নিলেই দোকানিরা পলিথিনের ব্যাগে সব বাজার তুলে দেয়। এভাবেই ছোট বড় সকল ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের হাতে তাদের বিক্রিত পণ্য পলিথিনে তুলে দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, সাধারনত কোন ক্রেতাই যেকোন ধরনের জিনিসপত্র কিনতে আসলে তারা খালি হাতে আসেন। এ অবস্থায় নিরূপায় হয়ে ক্রেতাদের পলিথিনেই সেই পণ্য তুলে দিতে হয়।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মতিউল আলম বলেন, পাটের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি বিভাগ নানামুখি পদক্ষেপ নিয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা এ উপজেলায় পাট চাষের নিমিত্তে ৭শ জন কৃষককে প্রণোদনা দিয়েছি। এছাড়া পাটের উৎপাদন ও এর তৈরিকৃত পণ্যে ব্যবহারে পাট অধিদপ্তর থেকে তিন হাজার কৃষককে সহায়তা দেয়া হয়েছে। পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এব্যাপারে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে এবং দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করতে হবে। তবেই এসবের ব্যবহার কমবে বলে আমার ধারনা। আর পাট পণ্যের ব্যবহারের সম্পর্কে সাধারনত পাট অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন কর্তৃপক্ষ দেখে থাকেন।

আব্দুর রশিদ নামের একজন কৃষক বলেন, একসময় পাট চাষাবাদে খুবই উৎসাহী ছিলাম। কিন্তু আগের মত হাট-বাজারগুলোতে পাটের তৈরি ব্যাগ চটসহ নানা ধরনের জিনিসপত্র চোখে পড়তো এবং এর চাহিদা ছিল। সেই সময়ের মত পাটের তৈরি পণ্যে তেমন চাহিদা নেই বললেই চলে। তিনি আরো বলেন, পাট চাষাবাদে  সার বীজ ও শ্রমিকের শ্রম মজুরী অনেকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকেই লোকসানের আশংকায় পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।

 

একুশে সংবাদ/সা.আ

Link copied!