পাবনায় ট্রাকের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার যাত্রী ভাই ও বোন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- বেড়া পৌর এলাকার শালকিপাড়ার রাজকুমার হালদারের ছেলে প্রদীপ হালদার এবং মেয়ে শম্পা রানী। শম্পা রানী তিনি নাটোর জেলার বাসিন্দা দিনেশের স্ত্রী। তারা পরিবারের এক সদস্যের বিয়ের পাত্রী দেখতে পাবনা শহরে যাচ্ছিলেন।
ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে পাবনা সদর উপজেলার ধোপাঘাটা এলাকায় বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা বেড়া থেকে পাবনা শহরের দিকে যাচ্ছিল। পাবনা শহরের কাছে ধোপাঘাটা পৌঁছানোর পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা যাত্রীসহ ৭ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা সম্পর্কে ভাই-বোন। অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহতদের মধ্যে অনুরাধা ধর (১২) নামের এক শিশু ছাড়া অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। সে জানায়, পাবনার বেড়া উপজেলায় তার নানা বাড়ি। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার শিলিমপুর গ্রামে। নিহত দুইজন তার মামা ও খালা (মাসী) ছিলেন। তারা নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। তার এক মামার জন্য তারা পাত্রী দেখতে পাবনা শহরে যাচ্ছিল।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই থানা পুলিশ এবং হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :