না ফেরার দেশে চলে গেলেন স্বাধীন চলচ্চিত্রের কর্ণধার, ছোট পর্দার জনপ্রিয় নির্মাতা ও প্রযোজক মনির হোসেন জীবন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহী রাজিউন)। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
মনির হোসেন জীবন নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের কুতুবদি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আজিজের ছোট ছেলে এবং ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ এর সম্মানিত সহ-সভাপতি।
মনির হোসেনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৬ জুন) রাত প্রায় ১২টার দিকে ব্রেইন স্টোক করেন মনির। পরে তাকে রাজধানীর আগারগাঁয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও চার মেয়ে রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বাদ আছর গ্রামের বাড়িতে নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে মনির হোসেন জীবন তার নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা ‘স্বাধীন চলচ্চিত্র’ গঠন করেন। তার প্রযোজনা সংস্থা থেকে তিনি অসংখ্য একক নাটক নির্মাণ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, শাদা কাগজ, বন্যার চোখে জল, অপ্রত্যাশিত প্রত্যাশা, অতঃপর নিঃস্বঙ্গতা, একজন ময়না, গানম্যান, বিবাহ সংকট, কোরবান আলীর কোরবানী সহ প্রায় শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছেন।
আলোচিত টেলিফিল্মের মধ্যে কালা গলার মালা, ঢুলি বাড়ী, হতাই, ফজর আলী, অজ্ঞান পার্টি, তুচ্ছ, কথা আছে, বংশ প্রদীপ, অহম, বাঙ্গালির বিয়ে, নিজের সংগে দেখা, তুমি এলে তাই, ফোর ষ্টুপিড উল্লেখ্যযোগ্য।
তার নির্মিত ধারাবাহিক নাটকগুলোর মাঝে, চোর কাঁটা, আলী বাবা চল্লিশ স্মাগলার,অভিমানী, ফৈজু কবিরাজ, সেই করেছো ভাল, নীল ছায়া, খন্ডচিত্র, গুজব, ভবের মানুষ, ফটিক চোর না সবাই উল্লেখযোগ্য।
মনির হোসেনের নির্মিত শর্টফিল্ম গুলো হলো, বাঁচার জন্য, গম্ভীরা, আর্সেনিক, দ্যা রিপোর্টার, লেডি মাস্তান, সেনিটারি লেট্রিন ছাড়া কোন গতি নাই, শিক্ষার আলো।
এসবের মাঝেও তিনি অসংখ্য প্রামান্যচিত্র নির্মাণ করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রাথমিক ও গনশিক্ষা, ক্ষুদ্ররিন, ওয়াটার চুল্লি, এক চাবিতে তিন দরজা, বিষের নাম আর্সেনিক, সেনিটারী লেট্রিন, ঢাকা ওয়াশা, মধুমতি মডেল টাউন, মশা, পুলিশ ডকুমেন্টরী, বিবিএস কেবলস, নাহি এসএস পাইপ, নাহি জিও টেক্সটাইল, ডায়নামিক কার।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :