নদী-নালাসহ খাল-বিল ধ্বংস ও শিকারি নিষিদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে ফাঁদ তৈরির কারণে দেশে প্রতিনিয়ত কমছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়াতে অভিযান পরিচালনা করে ১০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ দুই শতাধিক চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছে মৎস্য বিভাগ।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার দাসের জঙ্গল বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জালগুলো জব্দ করা হয়।
স্থানীয় ও মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ শিকার করলে দেশীয় মাছসহ মাছের পোনা হুমকিতে পড়ে। যার ফলে প্রতিনিয়ত দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন কমছে। শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোসাইরহাট উপজেলা মৎস্য বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে দাসের জঙ্গল বাজারে। অভিযানে বাজারের ৩টি গোডাউন থেকে ৩ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ২২০ পিচ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জালগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। বাজারে অভিযানের খবর পেয়ে গোডাউনের মালিক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যাওয়ায় গোডাউনের নাম পরিচয় জানতে পারেনি মৎস্য বিভাগ। জব্দ করার পর জালগুলো গোসাইরহাটের পট্টি ব্রিজ সংলগ্ন নদীর পাড়ে নিয়ে স্থানীয়দের সম্মুখে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে গোসাইরহাট উপজেলা মৎস্য অফিসার হাসিবুল হক বলেন, পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে কারেন্ট জালসহ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছি। মে থেকে পরবর্তী পাঁচ মাস দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন হয়। এ সময় চায়না দুয়ারিসহ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছগুলো মেরে ফেলে এক শ্রেণির জেলেরা। দেশীয় মাছের পোনা রক্ষাসহ মৎস্য আইন অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একুশে সংবাদ/ঢা.পো/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :