রাজবাড়ীতে র্যাবের অভিযানে ১৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সহ ৩ জন পেশাদার মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার ও তাদের হেফাজত থেকে অবৈধ এক হাজার ৮৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি দল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, কুষ্টিয়া কুমারখালি উপজেলার জয়নাবাদ মন্ডল পাড়া`র মৃত নুরুল ইসলাম ওরফে টিয়ালা`র ছেলে নাজমুল ইসলাম কাজল (৩৯), উপজেলার ছেঁউড়িয়া, মন্ডল পাড়া`র মোহাম্মদ মুরাদ এর ছেলে তাওহিদুল ইসলাম রাফিদ (২১) ও একই গ্রামের মো. আব্দুর সাত্তারের মেয়ে মোছা. বর্ষা খাতুন (১৯)। নাজমুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর পাংশা থানায় ২০১৭ সালে মাদক মামলায় ১৫ বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড হয়। সেই মামলায় তিনি ৭ বছর ধরে পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাবের ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সোয়া ২টার দিকে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজবাড়ীর সদর উপজেলার আলিপুর বাজার মাজার গেইট এর সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে এক হাজার ৮৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করেন। এ-সময় তাদের কাছ থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ এক হাজার ৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার আরও বলেন, নাজমুল ইসলাম কাজল একজন আন্তঃজেলা মাদক কারবারি ও তার সহোযোগিত আসামিগণও চিহ্নিত মাদক কারবারি। তারা দেশের সীমান্তবর্তী জেলার বিভিন্ন বর্ডার এলাকা থেকে চোরাই পথে মাদকদ্রব্য এনে ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী জেলা সহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা এলাকায় বিক্রয় করে থাকেন। আসামি কাজলের নামে কুষ্টিয়া, রাজবাড়ীর পাংশা ও গোয়ালন্দঘাট থানায় একাধিক মাদক মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে। বার বার গ্রেপ্তার হওয়ার পরও সে জামিনে মুক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে মাদকব্যাবসা অব্যাহত রেখেছিল।
তিনি আরও জানান গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করে রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :