AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গুরুদাসপুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কোটি টাকার সড়ক নির্মান


গুরুদাসপুরে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কোটি টাকার সড়ক নির্মান

নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলায় বিএডিসি গোপাট সড়ক নির্মান কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়দের অভিযোগ বিএডিসির অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসেই চলছে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে রাস্তা নির্মান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সূত্রে জানা যায়, এক কিলোমিটার গোপাট সড়ক নির্মানে চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা।

চলনবিল অধ্যুষিত কৃষকদের চলাচল, উৎপাদিত ফসল সহজে আনা নেয়ার লক্ষ্যে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের চিকুর মোড় হতে ইয়াছিনের জমি পর্যন্ত আরসিসি সড়ক নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করছে কুষ্টিয়ার মিন্টু এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নির্মান কাজ চলমান থাকলেও বিএসিসি কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। সড়কটি নির্মাণ কাজের গাইড দেওয়াল গাঁথা হচ্ছে নিম্ন মানের দুই নম্বর ইট দিয়ে। 

মাটি মিশ্রিত বালি, ইটের গুড়া মিশ্রিত দুই নম্বর রাবিশ খোয়ার মিশ্রনে চলছে ঢালাই। সেখানেও কার্যাদেশের সিমেন্ট, বালি ও খোয়ার আদর্শ অনুপাত মানা হচ্ছে না। 

সড়কের দুপাশে যেসব ইট, খোয়া ও বালি মজুদ করে রাখা হয়েছে তা সবগুলোই নিম্নমানের। এমন নিম্মানের উপকরণে সড়ক নির্মাণ হলে এর স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশ না করায় শর্তে অন্তত দশজন এলাকাবাসী জানান. কৃষকের ফসল ঘরে তোলা আর কর্দমাক্ত কাঁচা রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘবে এলাকাবাসীর দাবী ও স্বপ্ন ছিল একটা পাকা সড়কের। 

কিন্তু ঠিকাদারের নিম্নমাণের কাজে তা বিলীন হতে চলেছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, কাজে ব্যাপক ঘাপলা হলেও ঠিকাদারের কাজ বুঝে নিতে অফিসের কোন কর্মকর্তাকে তারা দেখেননি।

এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিন্টু এন্টারপ্রাইজের শাহিদুর রহমান জানান, কোন অনিয়ম হচ্ছে না। কার্যাদেশ মেনেই কাজ হচ্ছে।

ঠিকাদারের সহকারী মোহাম্মদ রাসেল জানান, ২০১৪ সালের কাজ। নির্মান সামগ্রীর দাম বাড়লেও টাকা বাড়ানো হয়নি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি জেনেও সুনাম রক্ষার্থে তারা কাজটি বাস্তবায়ন করছেন।

উপজেলায় বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান নিম্নমানের উপকরনে রাস্তা নির্মানের প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, তার সাথে গিয়ে নিম্নমানের প্রমান করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা আক্তার বলেন, নির্মানে কোন অনিয়ম হলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/সা.আ

Link copied!