ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় পরের দিন শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে মামলা। পুলিশ সুপারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন। বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন।
বিচার পেতে সংশয় এলাকাবাসী। পুরো পরিবারটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, তাদের একমাত্র ভরসা পুলিশ।
তদন্তকারী অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খালেদ হাসান জানান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাব্বির হোসেন ওরফে কালা নামের (১৮) একজনকে থানায় এনেছি আটক নয়। এমনভাবে অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মোর্শেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় নিহতের মা মেরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছেন।
নিহতের চাচি শাহানা বেগম জানান এই পরিবারটি সবাই প্রতিবন্ধী, বিচার পেতে সংশয় হচ্ছে। মূল আসামিকে গ্রেফতার করে আমরা এই জঘন্য কর্মকান্ডের জন্য ফাঁসির দাবি জানাই।
এদিকে ধর্ষিত ও হত্যা কান্ডের ঘটনায় পরিদর্শনকালে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মোর্শেদ আলম পিপিএম জানান, কিশোরীর সুরত হালে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। অপরাধী যেই হোক দ্রুত আসামীকে আটক করতে সক্ষম হবো বলে আশা করছি ।
এ বিষয়টির জন্য আমরা বিশেষ আরো একটি তদন্ত টিম গঠন করেছি যার নেতৃত্বে থাকবে ভাঙ্গা থানার ওসি তদন্ত আবুল খায়ের। তিনি সাব ইন্সপেক্টরদের নিয়ে মামলার মোটিভ না বের হওয়া পর্যন্ত তদন্তের দায়িত্বে থাকবে।
তবে এলাকাবাসীরা বিচার নিয়ে সংসয় প্রকাশ করে বলেন, নিহত মেয়েটি ছিল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এবং তার পুরো পরিবারটিও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।
যার জন্য অপরাধীদর চাঁপে বিচার না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
বিষয়টি ধামাচাঁপা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে যাবার সে চলেই গেল। এমন মন্তব্য অনেকেরই। কারণ, এর আগে মেয়েটি আরো একবার ধর্ষিত হয়েছে তার বিচার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পেল না পরিবারটি। যদি বিচার কঠিন হতো তাহলে এইবার তার জীবন দিতে হতো না।
এ বিষয়ে খুন হওয়া মেয়েটির বাবা প্রতিবন্ধী আব্দুল হাই বলেন, পূর্বে আরো এক বার আমার মেয়ে ধর্ষিত হওয়ার বিষয়ে আমি মুখ খুলতে গেলে আমাকে বাড়িতে থাকতে দিবেনা । আমি জরিমানা নেইনি। প্রতিবন্ধী হাই ভয়ে কাঁপতেছিল।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :