বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের প্লাষ্টার খসে পড়ে বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে ভবনটি। ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঘটতে পারে প্রানহানির মত ঘটনা। ব্যাহত হচ্ছে হলদিয়া ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষের সেবা কার্যক্রম।
ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনটি এতই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া অফিস বাজার এলাকায় নির্মাণ কর হয়। ভবনটি নির্মাণের পর আর কোনো সংস্কার করা হয়নি। সংস্কারের অভাবে ভবনটির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে।
ছাদের এবং দেয়াল ও পিলারের পলেস্তারার খসে পড়েছে। বর্ষার সময় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে। কাঠের দরজা জানালা অনেক আগেই পোকায় খেয়ে নষ্ট করে ফেলায় খুলে পড়ে গেছে। স্টিলের দরজাগুলো মরিচা ধরার কারনে এখন আর আটকানো যাচ্ছে না।
ভবনটি এতই দুর্বল হয়ে গেছে যে ভবনের দোতালায় উঠলেই কাঁপতে থাকে। দরজা জানালা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে অফিসের চেয়ার টেবিল স্টিলের আলমিরা থেকে শুরু করে সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যরা অফিস করতে পারছে না।
জনসাধারনরাও এখানে এসে বসতে না পারায় মাঠে কিংবা সামনের চায়ের দোকানে বসে কাজ সারে। ইউপি সদস্য মো. আবু ছালেহ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটির খুই খারাপ অবস্থা। ভয়ে আমরা কেউ উঠিনা ভবনে। জনগনের সেবার জন্য আমরা ওই ভবনের আশে পাশের দোকানে বসে কাজ সারি।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, দায়সারা ভাবে ভবনটি নির্মান করার পর আর কোন সংস্কার না করায় ভবনের ভিতরের পলেস্তারা খসে পরেছে। দরজা জানালা নেই। বৃষ্টির সময় ছাদ দিয়ে পানি পরে। সাধারন মানুষ সচিব ও সদস্যরা ভয়ে কেউ এখন আর ভবনের ভিতরে বসতে চায় না।
ভবনের দুরবস্থার কথা এলজিইডির প্রকৌশলী ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভবনটির সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। টাকা পাওয়া গেলে কাজ শুরু করা হবে।আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম বলেন, ভবনটি সংস্কার করা
প্রয়োজন। ভবনটি সংস্কারের জন্য এলজিইডিকে জরুরী ভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
হলদিয়ার ভুক্তভোগি জনসাধারন জরুরী ভিত্তিতে ভবন সংস্কার নয় নতুন ভবন নির্মানের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :