সময়মতো ফরম পূরণ করলেও পরীক্ষার আগে প্রবেশ পত্র না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী শাহরিয়ার বাঁধন। শেষ পর্যন্ত নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে রোববার (৩০ জুন) সকালে প্রবেশপত্র পেয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন ওই শিক্ষার্থী।
পরীক্ষার্থী শাহরিয়ার বাঁধন গুরুদাসপুর পৌর শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু বিএম ইন্সটিটিউটের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। রোববার থেকে তাদের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। প্রথম পরীক্ষা শেষ করে বিকালে নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে এসেছিলেন পরীক্ষার্থী শাহরিয়ার বাঁধন।
শাহরিয়ার বাঁধন বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে তিনি কলেজে গিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নিজের ফরম পূরণ করে টাকা জমা দেন। এরপর থেকে শুরু হয় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি। কিন্তু বিপত্তি বাধে প্রবেশপত্র নিয়ে। বুধবার ক্যাম্পাস থেকে তার সহপাঠিরা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করলে তিনি প্রবেশপত্র না পেয়ে হতাশায় পড়েন। যথাসময়ে ফরম পূরণ হয়নি জানিয়ে অধ্যক্ষ তাকে আগামী বছর পরীক্ষা দিতে বলেন। এতে তিনি মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ের্ছিলেন।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার শরণাপন্ন হন। তবে তিনি পরীক্ষা দিতে পারবেন বলে আশ^স্থ করেন ইউএনও। তবুও দুশ্চিন্তায় দুই রাত ঘুমাতে পারেননি। পরে রোববার সকালে নির্বাহী কর্মকর্তা ফোন করে প্রবেশপত্র নিয়ে পরীক্ষা দিতে বলেন। নির্বাহী কর্মকর্তার এমন উদারতা এবং শক্ত হস্তক্ষেপে তিনি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরেছেন। তার জীবন থেকে একটি বছর মুছে যায়নি। এজন্য তিনি নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চির কৃতজ্ঞ থাকবেন।
সরকারি বঙ্গবন্ধু বিএম ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, অনলাইনে টাকা জমা দেওয়ার পর ওই শিক্ষার্থী কলেজে যোগাযোগ করেননি। একারণে ফরম পূরণের তালিকা থেকে নামটি বাদ পড়তে পারে। তবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ানোর জন্য ওই শিক্ষার্থীকে সব ধরণের সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু বিএম ইন্সটিটিউটের সভাপতি সালমা আক্তার বলেন, শাহরিয়ার বাঁধন নামে এক পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র না পেয়ে তার কাছে এসেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের কন্ট্রোলারের সাথে কথা বলেন তিনি। দুইদিন ধরে অবিরাম যোগাযোগের পর রোববার সকালে ইমেইলের মাধ্যমে প্রবেশপত্র পাঠায় শিক্ষা বোর্ড। ওই প্রবেশপত্রেই শিক্ষার্থী বাঁধন পরীক্ষা দিতে পেরেছেন।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :