AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই, ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফরিদপুরে চরাঞ্চলের  কৃষকদের মাঝে গামবুট বিতরণ


ফরিদপুরে চরাঞ্চলের  কৃষকদের মাঝে গামবুট বিতরণ

ফরিদপুরের চরাঞ্চলের রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে  কৃষকদের মাঝে গামবুট বিতরণ করা হয়েছে।

রোববার (৩০ জুন) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে কৃষাণ-কৃষাণিদের হাতে গামবুট তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।

জানা যায়, ফরিদপুরের চরাঞ্চলে রাসেলস ভাইপার সাপের উপদ্রব বেড়েছে। সাপের আতঙ্কে ক্ষেতে যাচ্ছে না কৃষক। ক্ষেতেই অনেক ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই সাপের কামড়ে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে, চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

গামবুট নিতে আসা চাষি রাশেদ শেখ বলেন, এতোদিন সাপের ভয়ে ক্ষেতে যেতে পারিনি। গামবুট পেয়েছি এখন নিশ্চিন্তে ক্ষেতে যেতে পারবো, ক্ষেতের ফসল তুলে ঘরে আনতে পারবো। অনেক ফসল ইতোমধ্যে ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া শ্রমিকরাও ভয়ে ক্ষেতে নামছিল না। এখন সবাই ক্ষেতের ফসল ঘরে আনতে পারবো।

রোকেয়া বেগম নামে এক নারী  বলেন, নদীর পাশেই আমাদের বাড়ি। সাপের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারি না। জেলা প্রশাসক স্যার আমাদেরকে গামবুট দিয়েছেন, এখন গামবুট পড়ে ক্ষেতে যেতে পারবো। চলাচলেও কোনও সমস্যা হবে না। নিশ্চিন্তে ফসল ঘরে তুলে আনতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, স্বামীসহ সন্তানরা মিলে আমরা সবাই ক্ষেতে কাজ করি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক সময় ক্ষেতে যেতে হয়েছে। সাপের ভয়ে তিল ক্ষেত থেকে তুলতেই পারিনি এখনও। তিল ক্ষেতের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গামবুট পেয়েছি, এখন ক্ষেতে যেতে সমস্যা হবে না।

আরেক চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাদাম কিছুটা তুলেছি। গামবুট পেয়েছি এখন ক্ষেতে গিয়ে ফসল তুলতে পারবো। কৃষি শ্রমিকরাও ক্ষেতে যেতে চায় না। একারণে নিজেদেরই ঝুঁকি নিয়ে ফসল তুলতে হচ্ছে। গামবুট পেয়ে আমরা অনেক খুশি।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, রাসেলস ভাইপারের ভয়ে কৃষকরা ক্ষেতে ফসল তুলতে যেতে পারছিল না। কৃষকদের কথা চিন্তা করে সাপের কামড় থেকে বাঁচাতে গামবুট দেয়া হয়েছে। চরাঞ্চলের চাষিদের মাঝে আজ গামবুট দেয়া হলো। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নের চাষিদের মাঝে গামবুট বিতরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া সচেতনতায় মাইকিংসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত এ্যান্টিভেনম মজুদ করা হয়েছে। চরাঞ্চলের কোনও চাষিকে সাপে কাটলে দ্রুত হাসপাতালে আনার জন্য স্পিড বোটের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। কৃষকের সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। জেলা প্রশাসন কৃষকদের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলখ্যাত নর্থচ্যানেল ও ডিক্রিরচর ইউনিয়নের দুই শতাধিক কৃষকের মাঝে গামবুট বিতরণ করা হয়। এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়াছিন কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাসনীম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেনসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা উপস্থিত ছিলেন।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!