বরগুনার আমতলীর ডালাচারা গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামী জাহিদুল ঘরামীর (২৮) পুরুষাঙ্গ কেটে বাথরুমে ফেলে দিয়েছে প্রথম স্ত্রী নাসরিন (২০)। থানা পুলিশ প্রথম স্ত্রী নাসরিনকে (২২) আটক করেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২ বছর ৬ মাস পূর্বে ডালাচারা গ্রামের কালাম ঘরামীর ছেলে জাহিদুল ঘরামী পাশের মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেরাখালী গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে নাসরিনকে প্রেম করে বিয়ে করেন। তাদের রিফাত নামের ৯ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
স্ত্রী নাসরিন বলেন, তার স্বামী জাহিদুল ঘরামী গোপনে কুকুয়া ইউনিয়নের চুনাখালী গ্রামে তানজিলা নামের একটি মেয়েকে বিবাহ করেন। দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি বিরাজ করছিল। তাকে মারধর করতো তার স্বামী। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে রবিবার রাত ১২টার দিকে স্বামী জাহিদুল ঘরামী ঘুমন্ত থাকা অবস্থায় দা দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে বাথরুমে ফেলে দিয়েছেন।
জাহিদুল ঘরামীর ডাক-চিৎকারে বাড়ির স্বজনরা এসে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালে নিয়ে যান। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন জাহিদুলকে।
জাহিদুল ঘরামীর ভাইয়ের স্ত্রী হনুফা বেগম জানান, জাহিদুল দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন কিনা তা আমরা জানি না।
আমরা জাহিদুলের চিৎকার শুনে এসে দেখি রক্ত আর রক্ত জাহিদুলের পুরুষাঙ্গ কেটে বাথরুমে ফেলে দিয়েছেন বলে জানান তার স্ত্রী নাসরিন।
খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্ত্রী নাসরিনকে (২০) আটক করে। আমতলী থানার এসআই আশরাফ হোসেন বলেন, নাসরিনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখওয়াত হোসেন বলেন, পরবর্তী বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :