পাহাড়ধসের শঙ্কায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী বাসিন্দারা। যেকোনো সময় পাহাড় ধসে ঘটতে পারে প্রাণহানির ঘটনা। এদিকে রোববার (৩০ জুন) রাত ১২টার পরে কাপ্তাইয়ে ভারি বৃষ্টি হয়।
সচেতনতার লক্ষ্যে কাপ্তাইয়ের নতুন বাজার, লগগেট, ঢাকা কলোনি, শিলছড়ি, চিৎমরম কেয়াংঘাট, ওয়াগ্গা, চন্দ্রঘোনা, রাইখালী ও বালুর চরের মুসলিম পাড়াসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।
কাপ্তাইয়ের পাঁচটি ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আর ঝুঁকি মোকাবিলায় খাদ্যসামগ্রীসহ ১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে।
উপজেলা সহকারী তথ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়।
এদিকে বান্দরবানে সকাল থেকে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সকাল ৬টা পর্যন্ত ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও ভারী বর্ষণের কারণে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানিতে তলিয়ে যেতে পারে শহরের নিম্নাঞ্চল।
বান্দরবান জেলাপ্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দীন জানান, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে জেলা শহরসহ প্রতিটি ইউনিয়নে সতর্কতা অবলম্বন ও নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে এবং জেলার ৭ উপজেলায় ২১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ জুন নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধসে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :