মানিকগঞ্জের সিংগাইরে প্রবাসীকে থানায় ডেকে এনে ১২ ঘন্টা আটক রেখে লাখ টাকায় বিনিময়ে গভীর রাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ভুক্তভোগী প্রবাসী জহিরুল ইসলাম উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর শেখপাড়া গ্রামের আব্দুস ছালামের পুত্র।
রবিবার (৩০ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে থানায় ডেকে আনেন এএসআই সাইফুজ্জামান। এরপর তাকে হাজত খানায় আটক করে রাখা হয়।
ওইদিন দিবাগত গভীর রাতে ১ লাখ টাকা রফাদফা শেষে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয় বলে ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলামের পরিবার ও আত্মীয়রা নিশ্চিত করেন। তবে এএসআই সাইফুজ্জামান জানান, আমি পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ স্যারের নির্দেশে জহিরুলকে থানায় ডেকে এনেছি। এর বেশী কিছু জানি না। বাকী বিষয় তদন্ত স্যার জানেন। আপনি স্যারের সাথে কথা বলেন।
এদিকে, ভুক্তভোগীর মা জাহানারা জানান, কি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার ছেলেকে থানায় ডেকে আটক করা হয়েছিল এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। অভিযোগকারী কে তাও আমরা বলতে পারবো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জহিরুলের স্বজনরা জানান, থানা থেকে ছাড়ার বিষয়ে ফোর্ডনগর গ্রামের কথিত এক সাংবাদিকের মধ্যস্থতায় ওসি তদন্ত আবু হানিফ এক লাখ টাকার বিনিময়ে গভীর রাতে মুচলেকায় ছেড়ে দেন। তবে তাদেরকে এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলতেও নিষেধ করে দেয়া হয়।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মো. আবু হানিফ বলেন, দুবাইয়ে স্বার্ণালংকার লেনদেনের ঘটনায় ভাটারা থানার ওসি মাঈনুলের অনুরোধে তার এক আত্মীয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জহিরুলকে থানায় ডেকে আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, তবে কোনো লেনদেনের ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (সিংগাইর সার্কেল) আবদুল্লাহ আল ইমরান বলেন, আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।
একুশে সংবাদ/ই.ম.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :