ফরিদপুরে রাবেয়া খাতুন ওরফে ময়না নামে ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধাকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় গলাকাটা অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় ওই বৃদ্ধার লাশ দেখতে পায়।
নিহত বৃদ্ধা জেলা সদরের মাচ্চর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামের মৃত গেন্দু মল্লিকের স্ত্রী। সে দুই পুত্র ও দুই কণ্যার জননী। তার শয়ন কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। কিভাবে এমন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে সে বিষয়ে এখনও পরিবার ও পুলিশ কিছু জানতে পারেনি। তবে ঘটনাটি পরিবারের পক্ষ থেকে গোপন করা হচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে মাচ্চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় নিজ শয়ন কক্ষে রাবেয়া খাতুনকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পায় তার বড় ছেলে কোরবান মল্লিক (৪২)। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার ছেলেরা বলতে পারছে না। তবে ঘটনার সময় ওই বাড়িতে কোরবান মল্লিক, তার স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতে ছিল। তারা নাকি কাউকেই ওই বাড়িতে আসতে দেখেনি।
কোরবান মল্লিক জানান, দুপুর দুইটায় তার মা ময়না বেগম বিছানায় শুয়ে ছিলেন। সন্ধ্যার পূর্বে তিনি তার মায়ের গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান এ সময় তিনি চিৎকার করলে তার স্ত্রীসহ আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে ময়না বেগমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছোট ছেলে এসকেন মল্লিক জানান, তার বড় ভাই এবছর কোরবানীর ঈদে বিদেশ থেকে বাড়িতে আসে। তারপর থেকে মা সেখানেই থাকতো। মায়ের জমি বড় ভাইকে লিখে দেয়ার জন্য মাকে চাপ দেয়ার অভিযোগ করে সে। হয়তো লিখে না দেওয়াই ভাই ভাবি মিলে মাকে হত্যার চেস্টা করতে পারে বলেও সে অভিযোগ করে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, ঘটনাটি প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে গোপন করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। রাত আটটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেডিকেল হাসপাতালে গিয়ে মৃত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে দেখতে পাই। পরে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে এখনও জানা যায়নি। তবে তদন্ত কার্যক্রম শেষে জানানো যাবে। এখনও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :