AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ০৫ জুলাই, ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,রংপুর
০২:০৬ পিএম, ৩ জুলাই, ২০২৪
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

ভরা বর্ষা মৌসুমে তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে একাধিকবার বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয়েছিল ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার থেকে বাড়িয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার পরিমাপ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯ দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার। ৫৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি করে বিপৎসীমার নতুন পরিমাপ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে কেন বার বার পানি বিপৎসীমার ওপরে যাচ্ছিল। এর কারণ খুঁজে পাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নতুন বিপৎসীমা নির্ধারণ করেছে বলে জানা গেছে।

তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ডালিয়া ব্যারেজ চালু হয়েছে ১৯৯২ সালে। ডালিয়া ব্যারেজ চালুর পর থেকে বর্ষা মৌসুমে সর্ব প্রথম পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে আসছে ডালিয়া পয়েন্টে। তিন দশকের বেশি সময় ধরে এই অবস্থা চলে আসলেও চলতি বর্ষা মৌসুমে ব্যতিক্রম ঘটেছে। তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে প্রথমে বিপৎসীমা অতিক্রম না করে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তা রেল সেতু এলাকায় কয়েকটি চর জেগেছে। চরের কারণে পানির
লেভেল ওপরে উঠে যাচ্ছে। পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও নদীর দুই কূল উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেনি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নজরে এলে তারা ঢাকার হাউড্রোলজি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে। অনুসন্ধান করে দেখতে পান জেগে উঠা চরের কারণে এমনটা হচ্ছে। তাই পানি পরিমাপের লেভেল বাড়িয়ে দিয়ে নতুন করে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয়।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে হয়ে যাওয়া বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদীপাড়ের মানুষ। তিস্তা নদী বেষ্টিত কাউনিয়া উপজেলার গদাই এলাকার প্রায় কয়েক শতাধিক পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া চর এলাকায় কয়েকশত পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রংপুর বিভাগের আট জেলায় গেল জুনে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ধরা হয় ৪৮৯ মিলিমিটার। কিন্তু বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭৩৫ মিলিমিটার। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২৪৬ মিলিমিটার বেশি।

এদিকে পাউবোর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রংপুর জেলার কাউনিয়া, পীরগাছা ও গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তিস্তা নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ডালিয়ার পরিবর্তে কাউনিয়া পয়েন্টের পানি কেন বিপৎসীমা অতিক্রম করছে এর কারণ জানতে হাইড্রোলজি বিভাগে জানানো হয়েছিল। তারা নতুন করে বিপৎসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় বুধবার কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডালিয়া ব্যারেজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। এছাড়া ভাটি অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত পাহাড়ি ঢলের কারণে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, ঘাঘট, করতোয়া, ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ভারি বন্যার আভাস পাওয়া যায়নি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!