নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বন্যার কারণে হঠাৎ পানিবন্ধি আছে ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেই সাথে পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির ফলে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্ধি । বন্যার কারণে মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে। এখানে গ্রামীন অনেক রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে আছে। এরই মধ্যে সরকারি সিদ্ধান্তে আজ বুধবার ৩ জুলাই থেকে খুলেছে সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও বন্যার পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না।
বন্যার পানিতে পানিবন্ধি থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে রয়েছে মোজাফরপুর ইউনিয়নের চারিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আছিয়া রাহেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কান্দিঊড়া ইউনিয়নের আলী আলফাতুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানা যায়, উপজেলার ১৮২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে । ঈদের ছুটি শেষে আজ বুধবার ৩ জুলাই বিদ্যালয় খোলার কথা থাকলেও পাঠদান নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যায় ইতিমধ্যে উপজেলার ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্ধি আছে।যে ভাবে পানি বাড়ছে আরও বিদ্যালয় পানিবন্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আলী আলফাতুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আজহারুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর ৩ জুলাই থেকে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরুর কথা থাকলেও বিদ্যালয়ের মাঠ এবং চারিদিকে পানি থাকায় পাঠদান নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।তিনি আরও বলেন আমার বিদ্যালয়ে ৬৪ জন শিক্ষার্থী থাকলেও আজ মাত্র ৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
চারিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ মিল্কি ও লাবিব মিল্কির অভিভাবক রাসেল মিল্কি জানান, এই বিদ্যালয়ের মাঠে হাটু পানি থাকায়, বন্যার পানিতে সাপের ভয় এবং অনেক শিশু সাঁতার না জানার কারণে আজ বিদ্যালয়ে আসে নাই।এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামিরুল হক বলেন, বন্যার কারণে গ্রামীন সড়ক, মানুষের বাড়িঘর ও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আসতে পারছেন না। এ অবস্থায় পাঠদান নিয়ে আমরা চিন্তিত।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ১৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বন্যার কারণে ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্ধি আছে।পানিবন্ধি থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকগণ উপস্থিত থাকলেও পানিবন্ধি থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে এব্যারে অভিহিত করেছি।বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সাথে শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলেও তিনি জানান।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :