খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের তাইফাপাড়া এলাকায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরের দিকে বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।
অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম উপজেলার বেলছড়ি ইউপির তাইফাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত মোহরম আলীর ছেলে। সে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাজিপাড়ায় এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করে বর্তমানে বসবাস করছে।
মঙ্গলবার বিকালে ভুক্তভোগী গৃহবধূ গরু গুলোকে খুজতে খুজতে সিরাজের নির্জন বাগান বাড়িতে গিয়ে পেয়ে যায়। সেখানে পুর্বে থেকে ওঁত পেতে থাকা সিরাজুল ইসলাম জোর জবরদস্তি করে ঐ নির্জন বাগানের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এদিকে গরু আনতে দেরি হওয়ায় ভুক্তভোগীর স্বামী দিন মুজুর জসিম উদ্দিন খুজতে গেলে ২ জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। অভিযুক্ত সিরাজুল বাদীর স্বামী জসিমকে দেখে দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। গৃহবধূ বাদী হয়ে রাতে মাটিরাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত সিরাজুলকে গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম জানান, এব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। এলাকার একটি চক্র তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন জানান, মঙ্গলবার বিকালে ভুক্তভোগীর স্বামী আমাকে মুঠোফোনে ধর্ষণের বিষয়টি অবগত করলে। আমি নিজে গিয়ে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধুর সাথে কথা বলি। এবং এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ প্রদান করি। সিরাজুল একজন প্রতারক, প্রতারণা করে এলাকা নিরহ সাধারন মানুষদের থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মানুষকে বোকা বানানোর জন্য সুযোগ বুঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, এমপি, সচিব বা উপসচিবদের সাথে ছবি তুলেন। পরে এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড দিয়ে এসব ব্যক্তিবর্গের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করেন। অবস্থা বুঝে চাকরি দেওয়া, উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদ থেকে প্রকল্প অনুমোদন, মামলা নিষ্পত্তি করে দেওয়া, আবার কখনো সরকারি চাকরীজীবিদের বদলী করিয়ে দেওয়া কিংবা বদলী আদেশ প্রত্যাহার করা, সরকারির ঘর দেওয়া ও রেশন কার্ডের নাম পরিবর্তরে কথা বলে এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আর এসব ব্যাপারে একাধিক বার পরিষদে বিচার হয়েছে। এখনো অনেক লিখিত অভিযোগ পরিষদে জমা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় এই ইউপি সদস্য।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কমল কৃঞ্চ ধর জানান, ভুক্তভোগীর মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে সিরাজুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক যথা সময়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে। জানান তিনি ভুক্তভোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :