পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর ইউনিয়নে এলাকার উদ্যোগে এক কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা সংস্কার করছেন স্থানীয় লোকজন। ইউনিয়নের সামুদাফৎ ডাক্তার বাড়ী থেকে ইটের রাস্তার মাথায় প্যাদা বাড়ী পর্যন্ত মাঝ খানে ইটের রাস্তার মাথা পর্যন্ত কাঁচা রাস্তায় মাটি ভরাট ও বালু দিয়ে চলাচলের উপযোগী করছেন তারা। রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী হলে ওই এলাকার শত শত মানুষ ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ায় সুবিধা হবে।
দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ও বর্ষা মৌসুমে মাহিন্দ্রা গাড়ী ও টিলা সহ ভাড়ী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তাটি মানুষ চলাচলের অনউপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে দেনদরবার করেও ফল পাননি গ্রামবাসী। অবশেষ তাঁরা চাঁদা তুলে ও স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন।
গত সোমবার থেকে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজ করতে আরও তিন/চার দিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক জন লোক রাস্তা সংস্কারের কাজ করছেন। কেউ সড়কের মাঝ থেকে মাটি কাটছেন। অনেকে সেই মাটি ঝুড়িতে করে রাস্তার পাশে ফেলছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন রাস্তাটিতে সরকারিভাবে কোনো সংস্কারকাজ করা হয়নি। অনেক স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। বৃষ্টি হলে সেখানে পানি জমে। চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার স্কুল - কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তাই নিজ উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকাবাসী।
রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী অনেকেই বলেন, ‘এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ অনেকের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নেননি। তাই নিজেরাই উদ্যোগটা নিয়েছি। গ্রামের সবাই সাধ্যমতো চাঁদা দিয়েছেন। সেই টাকা দিয়ে কাজ শুরু করা হচ্ছে। এ ছাড়া সবাই শ্রম দিয়ে সংস্কারকাজে অংশ নিয়েছেন। তবে বর্ষার সময় রাস্তাটি রক্ষার জন্য মাহিন্দ্রা গাড়ী সহ ভারি যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন।’
আপনার মতামত লিখুন :