AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০৮ জুলাই, ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ধনবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে কচুলতি চাষ


ধনবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে কচুলতি চাষ

অন্য ফসলের চেয়ে চারগুণ বেশি লাভজনক হওয়ায় কচুলতি চাষ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কৃষকরা। এই ফসলে কোনো ঝুঁকি না থাকায় বাণিজ্যিকভাবে কচুলতি চাষ করছেন এখানকার স্থানীয় কৃষকরা। ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে কচুলতি চাষ হচ্ছে।

স্থানীয়ভাবে লতিরাজ জাতের কচু অনেকের কাছে জনপ্রিয় সবজি। ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধি ও ভালো বাজারমূল্য পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কচুলতি চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় সার্বিক সহযোগিতায় কচুলতি চাষ ভালো হয়েছে এবার।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, কচুক্ষেত থেকে বাড়তি ফসল হিসেবে পাওয়া যায় লতি। কচু গাছের বহুমুখি ব্যবহার হয়। প্রথমতো কচুর পাতা সবজি হিসেবে খাওয়া যায়, কচুর শক্ত শরীর ও কচুর লতি পুষ্টিকর তরকারি হিসেবে এবং কচুর গাছ থেকে মূল বা চারা হিসেবেও বিক্রি করা যায়। সঠিক পরিচর্যায় সব খরচ বাদে এক বিঘা জমিতে কচুলতি আবাদে প্রতি মৌসুমে অনায়াসে দেড় লাখ টাকা লাভ করা যায় কোনো ঝুঁকি ছাড়াই। স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ কচুলতি ১৮শ থেকে ২ হাজার টাকা দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। যা সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

মুশুদ্দি এলাকার কৃষক আল-আমিন বলেন, চারা রোপণের আড়াই মাসের মধ্যে লতি আসে। যা টানা ৭ মাস বিক্রি করা যায়। এক বিঘা জমিতে রোপণ থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। প্রতি সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার লতি স্থানীয় হাটে বিক্রি করতে পারি। প্রতি কেজি লতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যায়।

তিনি আরও বলেন, ঝামেলা কম ও কম খরচে কচুলতি চাষ করা যায়। এতে কীটনাশকের প্রয়োজন হয় না। গরু ছাগল কচু খায় না এবং তা দেখাশোনার জন্য বাড়তি কোনো লোকেরও প্রয়োজন হয় না।

কৃষাণী জাবেদ বেগম বলেন, আমি চলতি মৌসুমে ৩৩ শতক জমিতে কচুলতি চাষ করেছি। এতে অনেক লাভ করেছি যা অন্য কোনো ফসল থেকে সম্ভব নয়। কচুর লতির প্রচুর চাহিদা থাকায় জমি থেকে তুলে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে নেওয়া মাত্রই তা বিক্রি হয়ে যায়। তাই আগামীতে কৃষি অফিসের পরামর্শে দ্বিগুণ জমিতে কচুলতি চাষ করবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, বর্তমানে কচুর চেয়ে লতির চাহিদা বেশি। উপজেলার কৃষকরা অধিক লাভজনক হওয়াতে কচুলতি চাষের দিকে ঝুঁকছেন। বিঘা প্রতি ৯০ থেকে ১০০ মণের উপরে লতি পাওয়া যায়। আগ্রহী কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল কচুর চারা সরবরাহ করাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও কচুলতি চাষে জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায়।

 

একুশে সংবাদ/সা.আ

Link copied!