ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের একটি বিদ্যালয়ে একই সঙ্গে নেয়া হচ্ছে পরীক্ষা আর নির্বাচন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্বাচনের অভিভাবক সদস্য প্রার্থীদের অনেকেই। শনিবার (৬ জুলাই) এ ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় শেরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।
জানা যায়, কোটচাঁদপুরের শেরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। শনিবার সকাল ১০টার সময় শুরু হয়েছে বিদ্যালয়ে বোর্ডের মূল্যায়ন পরীক্ষা। যা চলবে বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত। অন্যদিকে চলছে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন। নির্বাচন শেষ হবে বিকাল ৪ টায়।
এদিকে একই দিন একই সময় বিদ্যালয়ে নির্বাচন আর পরীক্ষা হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও নির্বাচনের সদস্য প্রার্থীরা। ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক শিক্ষক তবিবর রহমান বলেন, আজ নির্বাচন হবে, জানার পর শুক্রবার রাতেই মনে হয়েছিল কাজটি ঠিক হচ্ছে না। কারন যাদের জন্য ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন, তাদের পরীক্ষার ব্যাঘাত ঘটিয়ে নির্বাচন করানোটা কোন মতেই ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচনের অভিভাবক সদস্য প্রার্থী ইসরাফিল হোসেন বলেন, পরীক্ষা চলাকালে নির্বাচন করা যাবে কি যাবে না। সেটা তো আয়োজক কমিটি, প্রধান আর শিক্ষা কর্মকর্তা ভাল বলতে পারবেন। তবে আমার মতে পরীক্ষা চলার সময় নির্বাচন না করাটাই ভাল হত।
একই কথা বলেন আরেক অভিভাবক সদস্য প্রার্থী রবিউল ইসলাম (রবি)। তিনি বলেন, এটা তো আমাদের জানার কথা না। এটা সংশ্লিষ্টরা বুঝবেন ভাল। প্রয়োজনে তারা একদিন নির্বাচন পেছাতে পারতো।
সাবেক ইউপি সদস্য আলী কদর বলেন,পরীক্ষা চলাকালে নির্বাচন হওয়াটা আমার মতে ঠিক হচ্ছে না। কারন যাদের জন্য নির্বাচন। তাদের চলছে পরীক্ষা। নির্বাচন হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীদের পরীক্ষার অবশ্যই ক্ষতি গ্রস্ত হবে।
শেরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আক্কাস উদ্দিন বলেন, পরীক্ষাটা সারাদেশে সিডিউল মোতাবেক হচ্ছে। এ জন্য বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। তবে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনটি করার আরেক দিন সময় ছিল। সেটি আগামী কাল এ নির্বাচন হতে পারতো। তবে আগামী কাল স্যারের (শিক্ষা কর্মকর্তার) অন্য প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন রয়েছে এ কারনে বাধ্য হয়ে আজকে নির্বাচনটি করা হচ্ছে। নির্বাচনে ছেলে মেয়েদের তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে কৌশলে এড়িয়ে যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার সরকার। তিনি বলেন, ওই ব্যাপারে আপনারা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জেনে। তিনি ভাল বলতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন, নির্বাচনে যদি ছাত্র ছাত্রীদের কোন হেম্পার না হয়। তাহলে সমস্য হওয়ার কথা না। এরপর আপনি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। ওনি বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :