স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তালাক দেন স্ত্রী। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রীর মুখে ঝলসে দিয়েছেন স্বামী। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় কান্দিউড়া ইউপি ব্রাহ্মণজাত গ্রামে গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
হুমায়ুন কবির উপজেলার মাসকা ইউপির মাসকা গ্রামের মৃত জুবেদ আলীর ছেলে। আর ভুক্তভোগী একই উপজেলার ব্রাহ্মণজাত গ্রামের ফজলুর রহমান খানের মেয়ে হাফসা আক্তার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৭ বছর আগে হাফসা আক্তারের সঙ্গে হুমায়ুন কবির বাকির বিয়ে হয়। বিয়ে পর কিছুদিন ভালো গেলেও স্বামীর শারীরিক সমস্যার কারণে তাঁদের দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। দেড় মাস ধরে দাম্পত্যকলহের মাত্রা বেড়েছে যায়। গত ঈদের পর দিন হাফসা আক্তার তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার কাজী অফিসে গিয়ে স্বামীকে তালাক দেন। এই খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিন রাতে বাড়িতে গিয়ে হাফসার মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। এতে তাঁর মুখের এক পাশ ঝলসে যায়।
ভুক্তভোগী হাফসা আক্তার বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে তার স্বামীর শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ে। ১৭ বছর দাম্পত্যজীবনে তাদের কোনো সন্তান নেই। তাকে বারবার বলার পরও সে চিকিৎসা করে না। উল্টো তাকে বেধড়ক মারপিট করে। তার সঙ্গে বাড়ির লোকজনও তাকে নির্যাতন করত। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দেনদরবার হয়েছে। চেষ্টা করেও তার সঙ্গে সংসার করতে পারছিলাম না।’
তিনি বলেন, ‘তার পৈশাচিক আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে বৃহস্পতিবার তাকে তালাক দেই। এই খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে আমাদের ঘরে রাতের খাবার খাওয়ার সময় ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দিয়ে আমার নাকেমুখে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে সে পালিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে জানতে কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হককে কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান বলেন, ওই নারী মুখে দাহ্য জাতীয় পদার্থ ছুড়ে মারা হয়েছে। এতে তার মুখের একপাশ ঝলসে গেছে। তবে সেটা অ্যাসিড কিনা এখনো বলা যাচ্ছে না। ওই নারী মমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অভিযুক্তকে আটকে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :