AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাজীবপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি


রাজীবপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটছে। ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (৬ জুলাই) নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে হাটু পানি হয়েছে। উপজেলা খাদ্য গুদাম চত্ত্বরেও বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে।

গুদামে মজুদ করা চাল ভিজে নষ্ট হতে পারে-এমন আশংকা করা হচ্ছে। উপজেলায় কমপক্ষে ৬০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। চলমান মাধ্যমিক স্কুলের ষান্মাসিক মূল্যায়নের কার্যক্রমসহ সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে এ উপজেলায়।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, রাজীবপুর উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৮০ ভাগ এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে। বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। চরম দুর্ভোগের মধ্যে গবাদিপশু নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বন্যা কবলিত চরের কৃষক।

কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর বিলপাড়া গ্রামের শাহ আলম বলেন, তিনদিন থিকা ঘরের মধ্যে পানি। রান্না করার কোনো জো নেই। ঘরের মধ্যে মাচা বানিয়ে বউ বাচ্চা নিয়া খেয়ে না খেয়ে আছি। এহনও কেউ দেখবার আইলো না। কোনো ত্রাণও পাইনি আমরা।

রাজীবপুরের নুরু ফকিরের চরের রোকেয়া বেগম বলেন, তিনদিন ঘরের মাচার ওপর ছিলাম। আইজ পানি মাচায়। কোথাও আশ্রয় না পেয়ে ঘরের ধর্ণার ওপর মাচা বানাইয়া আছি। ওই চরের হালিমা, নাছিমা জানান, আমরা মাচার ওপর ছিলাম মাচায় পানি ওঠায় পরে ঘর ছাইরা দিয়া ঢাকাইয়া পাড়া গ্রামের বদির বাড়িতে উঠছি। আমগর চরে কেউ ত্রাণ নিয়া আইসে নাই।

ওই একই চরের জামাল উদ্দিন নামের এক দিনমজুর বলেন, আমগর ঘরেও বন্যার পানি। কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাই নাই। কোদালকাটি ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ছক্কু ও মোহনগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, আমাদের এলাকার ৯০ ভাগ বন্যা কবলিত। যে পরিমান ত্রাণ দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। আরো ত্রাণের দাবি জানান ওই দুই চেয়ারম্যান।

রাজীবপুর উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজীবপুর উপজেলার ২৫ হাজার পরিবারের ৭০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত রাজীবপুর উপজেলার ৩ ইউনিয়নে ১৫ টন চাল সঙ্গে ১৩শ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আলম ও নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এ বিতরণ চলমান রয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/সা.আ

Link copied!