পটুয়াখালী জেলার বাউফলে কলেজ শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বাবু মৃধা ওরফে পিস্তল বাবুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এবং র্যাব-১০, সদর কোম্পানী, কেরানীগঞ্জ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল।
শনিবার (৬ জুলাই) বিকাল পাঁচটার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপি, ঢাকার কদমতলী থানাথীন সুফিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ বাবু মৃধা (৩২) ওরফে পিস্তল বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের শাপলাখালী গ্রামের মোফাজ্জেল মৃধার ছেলে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার ধর্ষিতা তরুনী (১৭) একাদশ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন গত ১১ জুন ভিকটিম কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ৩নং আসামি সোহেল তাকে অটোরিকশাযোগে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে রওনা হয়। কিন্তু তাকে তার বাড়ির সামনে না নামিয়ে বাড়ির অদূরে জনৈক আমির সিকদারের বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ভিকটিম পায়ে হেটে রওনা হলে আসামি বাবু ও তার সহযোগী ২নং আসামি সুমন তার পিছু নেয় এবং তাকে দাড় করিয়ে তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে এবং পথরোধ করে।
পরবর্তীতে আসামিরা ভিকটিমকে হাত ধরে টেনে নিয়ে জনৈক আমির সিকদারের টিনশেডের একটি ঘরের ভিতর নিয়ে যায়। তারা ঘরে থাকা এক মহিলাকে বের করে দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার ভয় দেখায়। পরে ১নং আসামি ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ২নং আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরোও ২জন আসামিরা রাস্তা থেকে ৩নং আসামিকে ডেকে নিয়ে আসে এবং তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে দিয়ে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায়। ৩নং আসামিকে দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করানোর সময় ১নং আসামি ভিডিও ধারণ করে রাখে এবং সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ৩নং আসামির নিকট হতে নগদ ৪হাজার ৫শ টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে তরুনী আসামিদের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় একটি মামলা করেন। বিষয়টি র্যাবের নজরে আসলে র্যাব আত্মগোপনে থাকা আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ব্যাপক ছায়াতদন্ত শুরু করে।
শনিবার র্যাব-৮ এর যৌথ আভিযানিক দল ডিএমপি, ঢাকার কদমতলী থানাথীন সুফিয়া হাসপাতালের সামনে অভিযান পরিচালনা করে আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাউফল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :