আনোয়ারা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে ধূমপান অতি মহামারী আকার ধারণ করেছে। উপজেলাজুড়ে অধিকাংশ কিশোর তরুণদের হাতে হাতে প্রকাশ্যে ধুমপান অভিভাবকদের মনে বাড়িয়ে তুলছে বাড়তি আতংক।
সম্প্রতি সময়ে ১৮ বছরের নিচের অপ্রাপ্ত রয়সী তরুনসহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তরুণ চাকুরীজীবীদের থেকে নিয়ে নবাগত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাদ যাচ্ছে না ধূমপানের হাত থেকে। তরুণদের মধ্যে ধূমপান একটি ফ্যাশন বা স্মার্টনেসে পরিণত হয়েছে।
উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বন্ধুদের দলগত আড্ডায় পড়ে তৈরী হচ্ছে নতুন নতুন অপ্রাপ্ত বয়সের ধূমপায়ীরা। বিক্রেতারা অপ্রাপ্তদের নিকট ধূমপান বিক্রয় নিষিদ্ধ জানা সত্ত্বেও ব্যবসায় বেশি বিক্রির আশায় অপ্রাপ্তদের হাতে তুলে দিচ্ছে ধূমপান। যা এই নতুন প্রজন্মকে ধীরে ধীরে ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যের দ্বারপ্রান্তে।
এব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, ধূমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে ধূমপান মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয়, পরিবেশ দূষণ করে এবং ধীরে ধীরে মৃত্যু ঘটায়। ধূমপায়ীর কারণে আশপাশের অধূমপায়ীরা ও ধূমপানজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। পাশাপাশি ধূমপান করতে করতে উঠতি বয়সী এ কিশোর তরুণেরা অন্য কোনো নেশার সাথে জড়িয়ে যেতে পারে।
অধিকাংশ বয়স্করা জানান, বর্তমানে চায়ের দোকানে ঢোকা যায় না। লজ্জা লাগে। কারণ ছোট ছোট অপ্রাপ্ত ছেলেরা প্রকাশ্যে ধূমপান করে। বড়দের নূন্যতম সম্মান করে না। চোখের সামনে তরুণ সমাজের এ অবক্ষয় মেনে নেয়া যায়না। এযেন সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে।
এব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাযায়, প্রকাশ্যে জনসম্মুখে তথা পাবলিক প্যালেসে ধূমপান করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। যার জন্য রয়েছে শাস্তির বিধান। তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তরুণরাই আগামী দিনের দেশের মির্মাতা। তাই তরুণ সমাজকে ধূমপানমুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, বয়স্কদের জোরালো ভূমিকা রাখা দরকার বলে মনে করেন তিনি। সচেতন মহল বলছেন এখনই এর লাগাম টেনে না ধরতে পারলে সামাজিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :