বগুড়া শহরের নারুলী এলাকা থেকে রহস্যজনক ভাবে একই পরিবারের নিখোঁজ ৭ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইন্সপেক্টর জাহিদ হোসেন মন্ডল এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
উদ্ধারকৃতরা হলেন- লালমনিরহাটের খোচাবাড়ি এলাকার ফাতেমা বেগম, তার ছেলে বিক্রম আলী, ছোট মেয়ে রুনা খাতুন, বড় মেয়ে রুমি বেগম, নাতনী বৃষ্টি খাতুন এবং যমজ নাতি হাসান ও হোসেন।
পিবিআই এর দাবি, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আয় রোজগার করে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার উদ্দেশ্য কাউকে না জানিয়ে রাঙামাটি চলে যায় তারা। বিগত ১০ বছর যাবৎ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তারা। ৩ জুলাই কাউকে কিছু না জানিয়ে ফাতেমা বেগম তার ছেলে, মেয়ে, নাতী ও নাতনীসহ মোট ৭ জন বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন।
তাদের বাড়ি লালমনিরহাটসহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনদের কাছে খোঁজ করেও কোনো সন্ধান না পেয়ে ফাতেমার স্বামী আব্দুর রহমান বগুড়া সদর একটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পিবিআই পুলিশ জিডি’র সূত্র ধরে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ইন্সপেক্টর জাহিদ জানান, ফাতেমা ও রুমি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তাদের স্বামী তাদের স্বাবলম্বী হতেও দিবেনা, আবার বিভিন্ন সময় আয় রোজগার নিয়ে খোটা দিয়ে কটু কথা শোনাতেন এবং মাঝে মধ্যেই মানসিক নির্যাতন চালাতেন। এ কারণে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সকলের অগোচরে নিজেরা আয় রোজগার করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে তারা রাঙ্গামাটি জেলার বুড়িরহাট এলাকায় ফাতেমার নানার বাড়িতে পালিয়ে যায় এবং সেখান থেকে কাজের সন্ধান করতে থাকে।
ইন্সপেক্টর জাহিদ হোসেন জানান, ফাতেমার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। ফাতেমা এর আগে অনেকবার রাঙ্গামাটিতে গিয়েছিল। এজন্য সেখানে তার পথঘাট পরিচিত ছিল। এরমধ্যে তিনি সেখানে অনেকের কাজের ব্যবস্থাও করেছিল। রাঙ্গামাটি যাওয়ার পর লালমনিরহাটেও একবার গিয়েছিল ফাতেমা। কিন্তু তাদের স্বামীর নির্যাতনের কারণে তারা কোথায় আছে, তা গোপন রাখেন। মূলতঃ তাদের পরিকল্পনাই ছিল রাঙ্গামাটি গিয়ে কাজকর্ম করে সেখানেই স্থানী বাসিন্দা হয়ে বসবাস করা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :