AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাদুল্লাপুরে শসার কেজি ১শ টাকা


সাদুল্লাপুরে শসার কেজি ১শ টাকা

গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে কয়েকদিনের টানা বর্ষনে শসার উৎপাদন অনেকটা কমে গেছে। ফলে হাটবাজারগুলোতে প্রতিকেজি শসার দাম তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্রেতা সাধারনের দাবি, গত দুই তিন সপ্তাহ আগেও প্রতিকেজি শসা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই শসা এখন ১শ টাকা কেজি বিক্রয় করা হচ্ছে। খুচরা ও পাইকারী সবজি বিক্রেতারা বলছেন, হাটবাজার গুলোতে শসার আমদানী কম হওয়ায় কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে চড়া দামে কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তারপরও অনেক সময় মিলছে না। বর্তমানে বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য শসার কদর এখন বেড়েছে।

শসা চাষীরা বলছেন, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির কারণে অনেক উচুঁ-নিচু জমিতে পানি জমেছে। এতে কাদা পানি জমে থাকায় গোড়া পঁচন ধরে অনেক শসা গাছ মরে যায়।

এমতবস্থায় মৌসুমের শেষ সময়ে বৈরি আবহাওয়ায় শসা উৎপাদনের আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শসা চাষীরা। এ কারণে আসন্ন আমন মৌসুমে  অনেকটা আর্থিক সংকটে পড়ার আশঙ্কা করছেন শসাচাষীরা।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, শসা উৎপাদনের মৌসুম প্রায় শেষ পর্যায়ে।কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে আমন চাষাবাদ। তবে বৃষ্টি না হলে কৃষকেরা  আরও কিছু দিন ক্ষেত থেকে শসা তুলতে পারতেন । এতে আর্থিকভাবে লাভবান হতেন তারা। তাদের পরামর্শ, এখন থেকে কৃষকদের  উঁচু জমিতে শসা চাষ করতে হবে। আর আগাম শসাচাষ করতে পারলে বৃষ্টি কিংবা বন্যায় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তেমন থাকেনা। সেই সাথে কখনো বৃষ্টি হলে তাৎক্ষনিক ভাবে ক্ষেত থেকে পানি নেমে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে কৃষি অফিসসুত্রে জানা গেছে, এউপজেলায় ১৭০ হেক্টর জমিতে শসা চাষ করা হয়েছে। এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ৪ হাজার মেঃটন।

উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, একদিন পরপরই ক্ষেত থেকে শসা তোলা যায়। তুলতে একটু দেরি হলেই তা পেকে নষ্ট হয়। কিন্তু বৃষ্টিতে অধিকাংশ কৃষকের  শসাক্ষেত নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন অনেকটা হ্রাস পেতে থাকে।

সাদুল্লাপুর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বসুনিয়া জানান, চলতি বছরে গত ১৫ জুন থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত এউপজেলায় ১৯৬ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এপরিস্থিতিতে গাছের গোঁড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে মারা গেছে অনেক জমির গাছ। এই কর্মকর্তা বলেন,বৃষ্টির কারনে এমৌসুমে শসা চাষীদের অনেকটা ক্ষতি হয়েছে।

সাদুল্লাপুর বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন জানান, তিন সপ্তাহ আগেও তিনি প্রতি কেজি শসা বিক্রি করেছেন ৩০ টাকায়। আর সেই শসা রোববার (০৮ জুলাই)১শত টাকা কেজিতেও  মিলছে না। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে চাহিদার চেয়ে আমদানী কম থাকায় হঠাৎ শসার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

সাদুল্লাপুর বাজারের আড়তদার আব্দুল মালেক বলেন, বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরে শসা আমদানি খুব কম হচ্ছে । এজন্য শসার দাম বেড়েছে। 

সাদুল্লাপুর উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুর রব বলেন, বৃষ্টি কিংবা বন্যার কবল থেকে চাষীদের শসা ক্ষেত রক্ষায় আগামী মৌসুম হতে আগাম চাষের পরিকল্পনা করতে হবে । সবসময় উঁচু জমিতে শসার উৎপাদন ভালো হয়। যথাপোযুক্ত সময়ে পরিচর্যা করা হলে অধিক ফলনের সম্ভাবনা থাকে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মতিউল আলম বলেন, ঘনঘন বৃষ্টিতে এমৌসুমে শসা ও মরিচক্ষেত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিক ভাবে জানা যায়নি। কৃষকদের এমন ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে তাদেরকে আগাম আমন ধান চাষের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

একুশে সংবাদ/সা.আ

Link copied!