নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় তালাক দেওয়ায় ওই নারী হাফছা আক্তার(৩৫) এর শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে সাবেক স্বামী হুমায়ূন কবির বাকির (৩৮) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৬ জুলাই কেন্দুয়া থানায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাবেক স্বামী হুমায়ুন কবির বাকি পুলিশের গ্রেপ্তার এড়িয়ে মঙ্গলবার ( ৯জুলাই) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে বিজ্ঞ বিচারক আসামী হুমায়ুন কবির বাকিকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক বলেন, আসামীকে গ্রেপ্তারে আমাদের জোড় অভিযান চলছিল। এরই মধ্যে জানতে পারি, আসামী হুমায়ুন কবির বাকি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।পরে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
জানা যায়, হাফছা আক্তার কেন্দুয়া উপজেলার ব্রাহ্মনজাত গ্রামের মৃত ফজলুর রহমান খানের মেয়ে। আসামী হুমায়ুন কবির বাকি মাসকা গ্রামের মৃত জুবেদ আলীর ছেলে।
২০০৭সালে হুমায়ুন কবির বাকির সঙ্গে পারিবারিক ভাবে হাফছা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর হাফছা আক্তার জানতে পারেন স্বামীর সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এ নিয়ে কলহের জেরে হুমায়ুন কবির বাকি প্রায়ই হাফছা আক্তারকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঈদুল আজহার পরদিন বাবার বাড়ি চলেন হাফছা। বৃহস্পতিবার স্হানীয় কাজীর মাধ্যমে হাফছা তার স্বামী হুমায়ূন কবির বাকিকে তালাক দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার রাত পৌনে ৮ টায় ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে হাফছা আক্তারের শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় হুমায়ুন কবির বাকি। এতে হাফছার চোখ, মুখ, গলা ও শরীরে বিভিন্ন স্হান দগ্ধ হয়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :