সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে আন্তর্জাতিক এবং রাষ্ট্রীয় আইনকে কোনো রকম তোয়াক্কা না করে চলছে বাল্য বিবাহ। যা বর্তমানে সামাজিক অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে বাল্যবিবাহের প্রবণতা বেশি। এই ওয়ার্ডে স্থানীয় কিছু সাংবাদিক ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেশ কয়েকটি বিয়ে বন্ধ হলেও।উল্টো যারা বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের তিরস্কার ও ভয় ভীতি দেখিয়ে কেউ কেউ প্রকাশ্যে বাল্য বিবাহের আয়োজন করছে।
এই ওয়ার্ডের গড়াকাটা গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে অটো চালক সাহিন আলম(১৭) এর সাথে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের মেয়ে নবম শ্রেণি পড়ুয়া তানিয়া(১৬) পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনা যায়।মেয়ের বাবা নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন।
স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসন অবগত ছিল তারা ভেবে ছিল হয়তোবা ছেলে মেয়ে ফিরে আসবে।কিন্তু না তা আর হল না। অবশেষে জানতে পারা যায় ছেলে মেয়ে গোপনে বিয়ে করে ফেলেছে।
কিছু অসাধু লোকদের সহযোগিতায় রীতিনীতি আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে বাল্যবিবাহ।অথচ বছর খানেক আগেও এই একই বাড়িতে আরেকটি বাল্যবিবাহ সংগঠিত হয়।"যা দেখার কেও নেই"
স্থানীয় সুশীল সমাজের দাবি শুধু একবার বাল্য বিয়ে বাধা দেওয়া থেকে শুরু করে বিয়ে হয়ে গেলেও শাস্তি নির্ধারণ করা পর্যন্ত এমনকি বাংলাদেশ সংবিধান অনুযায়ী আইনের সঠিক প্রয়োগ করলেই একমাত্র বাল্য বিবাহ বন্ধ হবে।
অনেকেই দাবী করছে বাল্য বিবাহ সংগঠিত হয়ে গেলে প্রশাসন ও আইনের প্রয়োগ না করা হলে কোন ভাবে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা সম্ভব না।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন,আমি এইসব বিষয়ে কিছু জানিনা।আমার মেয়ের বয়স হয় নি।আমি বিয়ে দিতে চাই নি।এখন শুনতেছি আমার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।
ছেলের বাবা শাজাহান মিয়া বলেন,ছেলে মেয়ে বিয়ে করেছে,আমি এগুলো কিছু জানি না।আমি আইনের বাহিরে না,আইনে বিচার করুক।
বিশর পাশা হরিশ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপাল সাহা বলেন,বাল্য বিবাহের প্রতি আমারর সোচ্চার, এটি বন্ধ না হলে ছাত্র ছাত্রীরা অকালে ঝরে যাবে।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ওসি এমরান হোসেন বলেন,মেয়ের বাবা একটি ডায়েরি করেছে,তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশ দর্শী চাকমা বলেন,স্থানীয় চেয়ারম্যান কে বিষয়টি খুঁজ নিতে বলা হয়েছে।বাল্য বিবাহের বিষয়ে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। তাই বাল্য বিবাহের বিষয়ে কোন ছাড় নেই।তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :