ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ভরনিয়া দারুল হাদীস ওয়াদ দাওয়াহ্ আস্-সালাফিয়্যা মাদরাসার সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এরই মধ্যে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সভাপতির বিরুদ্ধে রাণীশংকৈল থানায় দায়ের করা হয়েছে মামলা। তবে তিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
অভিযুক্ত মাদ্রাসা সভাপতির নাম আব্দুল করিম। তিনি ভরনিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত কুমার সাহা।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুলাই রাতে মাদরাসার এতিমখানা মহিলা হোস্টেলে এই ঘটনা ঘটে। রাতে হোস্টেলে তিনজন ছাত্রী ছিলেন। আব্দুল করিম ছাত্রীদের প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা করার সুবাদে সেদিন রাতে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে দেন। দুজন ছাত্রী সেই জুস খেলেও একজন খাননি। রাত দেড়টার দিকে খাবার না খাওয়া ওই ছাত্রীর ঘুম ভাঙলে তিনি ঘরের লাইট জ্বালিয়ে অচেতন থাকা দুই ছাত্রীর সঙ্গে আব্দুল করিমকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখেন। এ সময় তাঁর চিৎকারে এলাকার লোকজন মাদ্রাসায় উপস্থিত হলে আব্দুল করিম পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে সকালে ওই ছাত্রীদের তাঁদের পরিবার নিয়ে যায়।
ধর্মগড় ইউপি সদস্য মাইনুদ্দিন কাবুল বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি ঘৃনিত কাজ। তাও ঘটনা ঘটেছে আবার মাদ্রাসা হোস্টেলে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন সমাধানের চেষ্টা করেছি, তবে আব্দুল করিম পলাতক থাকায় বিষয়টি সমাধান হয়নি।’
এ বিষয়ে ধর্মগড় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুল করিম প্রায়ই অনেক রাত পর্যন্ত মাদরাসায় থাকতেন। ঘটনার দিন তিনি ছাত্রীদের জুসে চেতনাশক নিয়ে অচেতন করে শ্লীলতাহানি করেছেন। তাঁকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
পুলিশ কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, অভিযুক্ত মাদরাসা সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :