AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বর্ষা মৌসুমে কালিপুর গ্রামবাসীর ভরসা ‘বাঁশের সাঁকো’


Ekushey Sangbad
সাকিব হোসেইন, তিতাস, কুমিল্লা
০৭:৫৬ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০২৪
বর্ষা মৌসুমে কালিপুর গ্রামবাসীর ভরসা ‘বাঁশের সাঁকো’

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় বর্ষা মৌসুমে ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সহস্রাধিক বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারী -পুরুষ এই বাঁশের সাঁকো পাড় হয়ে পাশের গ্রাম রঘুনাথপুর আনন্দ বাজারে যেতে হয়। ওখান থেকে অটোরিকশা যোগে শিক্ষার্থীরা যায় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায়। আর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নারী-পুরুষ যান পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার ছালিয়াকান্দি বাজার ও তিতাস উপজেলার আসমানিয়া বাজারে গিয়ে তাদের দৈনন্দিন কাজে যেতে হয়। শুকনো মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে যাতায়াত করলেও বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় নির্মাণ করতে হয় বাঁশের সাঁকো। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও গ্রামবাসী প্রতি ঘর থেকে টাকা তুলে আনুমানিক লাখ টাকা খরচ করে নির্মাণ করেন রঘুনাথপুর আনন্দ বাজার টু কালিপুর গ্রাম বাঁশের সাঁকো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সাঁকোর নিচে মাটির রাস্তাটি বর্ষার পানিতে ৪/৫ ফুট নিচে তারই উপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে সাঁকো। নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ যাতায়াত করলেও গৃহ নির্মাণ সামগ্রী রট,সিমেন্ট,ইট,বালু, টিন ও কাঠসহ এসব বারি মালামাল নিয়ে যাতায়ত করা খুবই কষ্টসাধ্য। এসব মালামাল বাড়ি পৌঁছাতে গৃহস্থের গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা।

গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুকনো মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে আমরা পায়ে হেটে আনন্দ বাজারে এসে আসনানিয়া বাজার ও ছালিয়াকান্দি বাজারে আসা যাওয়া করি, কিন্তু বর্ষাকাল আসলে রাস্তাটি পানিতে ডুবে যাওয়ায় সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে আমাদের খুব অসুবিধা হয়। তারা আরও বলেন, এবছর গ্রামের প্রতি ঘর থেকে টাকা তুলে সাঁকো দিয়েছে, শুকনো মৌসুমে মাটি দিয়ে রাস্তাটি উচু করে ছোট ছোট যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার জন্য স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর এর সুদৃষ্টি কামনা করেন সুমি আক্তার।

একই গ্রামের আব্দুল মতিন বলেন, কালিপুর টু আনন্দ বাজার রাস্তাটি বর্ষাকাল আসলে পানিতে ডুবে যায়, তাই বর্ষাকাল আসলে আমাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করি, এবছরও আমরা গ্রামবাসী টাকা তুলে বাঁশের সাঁকো দিয়েছে কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমাদেরকে কোনো সহযোগিতা করেনি।

আব্দুল মতিনের দাবি স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর এই রাস্তাটি শুকনো মৌসুমে মাটি দিয়ে উচু করে ছোট ছোট যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে দিলে কালিপুর গ্রামবাসী আর সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হবে না।

এবিষয়ে ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড এর মেম্বার মো. সালাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, কালিপুর টু আনন্দ বাজার সংযোগ সড়কের কিছু অংশ বর্ষা আসলে পানিতে ডুবে যার ফলে এই গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের দৈনন্দিন কাজে সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। স্থানীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর সাহের নিকট আমাদের দাবি শুকনো মৌসুমে এই সড়কটি মাটি দিয়ে উচু করা হলে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারবে এবং কালিপুর গ্রামবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ লাগব হবে।

ভিটিকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো.বাবুল আহম্মেদ বলেন, সাবেক এমপি সেলিমা আহমেদ মেরী একবার বরাদ্দ দিয়ে ছিল মাটির কাজ করার জন্য। বর্তমান এমপি ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর মহোদয়কে কালিপুর হতে আনন্দ বাজার সংযোগ সড়কের বিষয়টি অবহিত করেছি, আশা করি শুকনো মৌসুমে পুরো সড়কটি মাটির কাজ করে আজোয়ার করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!